০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ছুটির দিনে জমজমাট বানিজ্যমেলা

প্রতিনিধির নাম
করোনার প্রকোপ বাড়লেও পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ছুটির দিনে জমজমাট চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবারই প্রথম স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চললেও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে মেলায় সাধারন দর্শনার্থীদের ভীড় কম হলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার) মেলা প্রাঙ্গনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়।
এবার বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির  দেশি-বিদেশি মোট ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি ৬টি স্টল ও ৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।বাকিগুলো দেশি স্টল। পাশাপাশি মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্টল ও প্যাভিলিয়নে ইলেকট্রনিক, কার্পেট, ফেব্রিক্স, ক্রোকারিজ, ফুডস, চামড়াজাত পন্য, অলংকার,ফার্নিচার,ফুটওয়ার, খেলনা ইত্যাদিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সমগ্রীর সমাহার রয়েছে। প্রতিবছর মেলায়  পন্যের নতুনত্ব এবং বিশেষ ছাড়ের কারনেই মূলত মেলায় ভীড় জমায় ক্রেতারা। এবারেও মেলা উপলক্ষে পন্য ভেদে সর্বনিম্ন ৫% থেকে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, মেলায় প্রবেশের গেট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং মাস্ক পরিধান করে মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টলগুলোতে প্রবেশের সময় মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে, এবারের বানিজ্য মেলায় ক্রেতার তুলনায় দর্শনার্থীর পরিমানই বেশী। ছুটির দিন (শুক্রবার) কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে মেলা প্রাঙ্গনে। অধিকাংশ দর্শনার্থীরাই শুধু ঘুরে ঘুরে দেখেছেন কিন্তু জনসমাগম অনুপাতে পন্য ক্রয় করতে দেখা যায় নি। এতে মেলায় বিক্রি নিয়ে কিছুটা হতাশ স্টল মালিকরা। অন্যান্য স্টলের বিক্রেতারা হতাশ হলেও মেলা প্রাঙ্গনে জমজমাট ফুড স্টলগুলো, তাদের বিক্রিও বেশ ভালো।
এবারের বানিজ্য মেলায় বিক্রি কম হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেডিমেড ব্লেজার ব্যবসায়ী মোঃ ওয়াদুদ হোসেন বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারের বেঁচা বিক্রি অনেকটাই কম। আমরা সর্বোচ্চ ৫০% ডিসকাউন্ট দিয়েও আশানুরুপ বিক্রি করতে পারছি না। গত কয়েকদিনের অবস্থা খুবই খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসানে পড়তে হবে। তবে, আজকে যে পরিমান ক্রেতা আসছে এভাবে শেষ কয়েকটা দিন চললে হয়তো লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। অপরদিকে মেলার বি-৩৩ নং প্যাভিলিয়নের আনোয়ার জামদানী কুটিরের সত্ত্বাধিকারী বলেন, একে তো এবারের বানিজ্য মেলা নতুন জায়গায় হচ্ছে। তার উপরে ঢাকা থেকে নির্মানাধীন সড়ক পথ পাড়ি দিয়ে দর্শনার্থীদের আসতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ক্রেতাও কম হচ্ছে, আমাদের বিক্রিও কম হচ্ছে। অন্য দিনের তুলনায় আজকে দর্শনার্থী অনেক বেশী, বেঁচা বিক্রিও ভালো।
উল্লেখ্য, দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এবারের আয়োজনে যাতায়াত ব্যবস্থার ভোগান্তি এবং রাজধানীর মূল শহরের বাহিরে মেলার আয়োজন করার কারনেই মূলত মেলায় দর্শনার্থী এবং ক্রেতার পরিমান কম হচ্ছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। এতে  বিক্রেতারা কিছুটা হতাশ হলেও শেষ কয়েকদিনে বিশেষকরে ছুটির দিনে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারনা তাদের আশার সঞ্চার করেছে।
ট্যাগস :
আপডেট : ১২:৫০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
২৬৪ বার পড়া হয়েছে

ছুটির দিনে জমজমাট বানিজ্যমেলা

আপডেট : ১২:৫০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
করোনার প্রকোপ বাড়লেও পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ছুটির দিনে জমজমাট চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে এবারই প্রথম স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চললেও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে মেলায় সাধারন দর্শনার্থীদের ভীড় কম হলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্রবার) মেলা প্রাঙ্গনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়।
এবার বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির  দেশি-বিদেশি মোট ২২৫টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি ৬টি স্টল ও ৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।বাকিগুলো দেশি স্টল। পাশাপাশি মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্টল ও প্যাভিলিয়নে ইলেকট্রনিক, কার্পেট, ফেব্রিক্স, ক্রোকারিজ, ফুডস, চামড়াজাত পন্য, অলংকার,ফার্নিচার,ফুটওয়ার, খেলনা ইত্যাদিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সমগ্রীর সমাহার রয়েছে। প্রতিবছর মেলায়  পন্যের নতুনত্ব এবং বিশেষ ছাড়ের কারনেই মূলত মেলায় ভীড় জমায় ক্রেতারা। এবারেও মেলা উপলক্ষে পন্য ভেদে সর্বনিম্ন ৫% থেকে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা যায়, মেলায় প্রবেশের গেট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং মাস্ক পরিধান করে মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্টলগুলোতে প্রবেশের সময় মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে, এবারের বানিজ্য মেলায় ক্রেতার তুলনায় দর্শনার্থীর পরিমানই বেশী। ছুটির দিন (শুক্রবার) কয়েক হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে মেলা প্রাঙ্গনে। অধিকাংশ দর্শনার্থীরাই শুধু ঘুরে ঘুরে দেখেছেন কিন্তু জনসমাগম অনুপাতে পন্য ক্রয় করতে দেখা যায় নি। এতে মেলায় বিক্রি নিয়ে কিছুটা হতাশ স্টল মালিকরা। অন্যান্য স্টলের বিক্রেতারা হতাশ হলেও মেলা প্রাঙ্গনে জমজমাট ফুড স্টলগুলো, তাদের বিক্রিও বেশ ভালো।
এবারের বানিজ্য মেলায় বিক্রি কম হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেডিমেড ব্লেজার ব্যবসায়ী মোঃ ওয়াদুদ হোসেন বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারের বেঁচা বিক্রি অনেকটাই কম। আমরা সর্বোচ্চ ৫০% ডিসকাউন্ট দিয়েও আশানুরুপ বিক্রি করতে পারছি না। গত কয়েকদিনের অবস্থা খুবই খারাপ। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লোকসানে পড়তে হবে। তবে, আজকে যে পরিমান ক্রেতা আসছে এভাবে শেষ কয়েকটা দিন চললে হয়তো লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। অপরদিকে মেলার বি-৩৩ নং প্যাভিলিয়নের আনোয়ার জামদানী কুটিরের সত্ত্বাধিকারী বলেন, একে তো এবারের বানিজ্য মেলা নতুন জায়গায় হচ্ছে। তার উপরে ঢাকা থেকে নির্মানাধীন সড়ক পথ পাড়ি দিয়ে দর্শনার্থীদের আসতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ক্রেতাও কম হচ্ছে, আমাদের বিক্রিও কম হচ্ছে। অন্য দিনের তুলনায় আজকে দর্শনার্থী অনেক বেশী, বেঁচা বিক্রিও ভালো।
উল্লেখ্য, দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এবারের আয়োজনে যাতায়াত ব্যবস্থার ভোগান্তি এবং রাজধানীর মূল শহরের বাহিরে মেলার আয়োজন করার কারনেই মূলত মেলায় দর্শনার্থী এবং ক্রেতার পরিমান কম হচ্ছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। এতে  বিক্রেতারা কিছুটা হতাশ হলেও শেষ কয়েকদিনে বিশেষকরে ছুটির দিনে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারনা তাদের আশার সঞ্চার করেছে।