০৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

জাঁকজমকপূর্ণভাবে মেঘদূত তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব উদযাপন

মো. ছাব্বির হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার

‘সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়’- এই স্লোগানকে ধারণ করে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হলো মেঘদূত তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব-২০২৩।

বেইলি রোডস্হ বাংলাদেশ মহিলা সমিতি ভবনের আইভি রহমান মিলনায়তনে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩,
শুক্রবার, লেখক, পাঠক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব। কবিকন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ, ২০২৩-এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় মেঘদূত প্রকাশন থেকে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের প্রদর্শনী , সুহৃদ সম্মাননা প্রদান, মেঘদূত সাহিত্য পত্রিকা চতুর্থ সংখ্যা পাঠ উন্মোচন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজনটি সাজানো হয়।

আড়ম্বর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সোহরাব হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ হাসান কবীর। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেঘদূত লেখক পর্ষদ সভাপতি, বাংলা বানান ও উচ্চারণ গবেষক রাশেদ চৌধুরী।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সমাজ বিনির্মাণে সৌন্দর্য ও জ্ঞানের চর্চাকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সৃজনশীল চর্চার বিকল্প নেই। মানুষের সৃষ্টিশীলতার বিকাশ সাধনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে দেশপ্রেমের বিস্তার ঘটাতে পারলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ হবে। এছাড়াও তিনি লেখকদের ধন্যবাদ জানান। কারন ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি সত্য ও ন্যায়ের আন্দোলনে লেখকদের অসামান্য কৃতিত্ব ছিলো।

বিশেষ অতিথি ড. মোঃ হাসান কবীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় মেঘদূত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এজন্য তিনি মেঘদূত-কে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে মেঘদূত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেঘদূত সভাপতি রাশেদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে লেখকদের অবহেলার কথা তুলে ধরেন এবং এ সমস্যা নিরসনে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। এছাড়াও তিনি শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশকে গড়ে তুলতে সকলকে মেঘদূত সুহৃদ পর্ষদে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান।

মেঘদূত লেখক পর্ষদ সাধারণ সম্পাদক, কবি, কথাসাহিত্যিক ও আবৃত্তিশিল্পী তাহেরা আফরোজ তাঁর বক্তব্যে লেখকদের নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। অন্যান্য অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে মেঘদূত সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানটির আহবায়ক ছিলেন মেঘদূত লেখক পর্ষদ সদস্য কবি মাহবুবা হক এবং সদস্য সচিব ছিলেন মেঘদূত লেখক পর্ষদ সদস্য কবি ও কথাসাহিত্যিক খান আফিফা লুনা। এছাড়াও মেঘদূত লেখক পর্ষদ উপদেষ্টা, প্রাবন্ধিক গরীব নেওয়াজ, মেঘদূত সহ-সভাপতি কবি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক প্রফেসর সেলিনা আখতার, কবি আতিয়ার রহমানসহ দুইশতাধিক লেখক, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ী এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:০৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
২৭৫ বার পড়া হয়েছে

জাঁকজমকপূর্ণভাবে মেঘদূত তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব উদযাপন

আপডেট : ০৫:০৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়’- এই স্লোগানকে ধারণ করে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হলো মেঘদূত তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব-২০২৩।

বেইলি রোডস্হ বাংলাদেশ মহিলা সমিতি ভবনের আইভি রহমান মিলনায়তনে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩,
শুক্রবার, লেখক, পাঠক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব। কবিকন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ, ২০২৩-এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় মেঘদূত প্রকাশন থেকে প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের প্রদর্শনী , সুহৃদ সম্মাননা প্রদান, মেঘদূত সাহিত্য পত্রিকা চতুর্থ সংখ্যা পাঠ উন্মোচন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজনটি সাজানো হয়।

আড়ম্বর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সোহরাব হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মোঃ হাসান কবীর। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেঘদূত লেখক পর্ষদ সভাপতি, বাংলা বানান ও উচ্চারণ গবেষক রাশেদ চৌধুরী।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সমাজ বিনির্মাণে সৌন্দর্য ও জ্ঞানের চর্চাকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবোধসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণে সৃজনশীল চর্চার বিকল্প নেই। মানুষের সৃষ্টিশীলতার বিকাশ সাধনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে দেশপ্রেমের বিস্তার ঘটাতে পারলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ হবে। এছাড়াও তিনি লেখকদের ধন্যবাদ জানান। কারন ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি সত্য ও ন্যায়ের আন্দোলনে লেখকদের অসামান্য কৃতিত্ব ছিলো।

বিশেষ অতিথি ড. মোঃ হাসান কবীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় মেঘদূত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এজন্য তিনি মেঘদূত-কে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে মেঘদূত বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় অনেক দূরে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেঘদূত সভাপতি রাশেদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে লেখকদের অবহেলার কথা তুলে ধরেন এবং এ সমস্যা নিরসনে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। এছাড়াও তিনি শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশকে গড়ে তুলতে সকলকে মেঘদূত সুহৃদ পর্ষদে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান।

মেঘদূত লেখক পর্ষদ সাধারণ সম্পাদক, কবি, কথাসাহিত্যিক ও আবৃত্তিশিল্পী তাহেরা আফরোজ তাঁর বক্তব্যে লেখকদের নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। অন্যান্য অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে মেঘদূত সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানটির আহবায়ক ছিলেন মেঘদূত লেখক পর্ষদ সদস্য কবি মাহবুবা হক এবং সদস্য সচিব ছিলেন মেঘদূত লেখক পর্ষদ সদস্য কবি ও কথাসাহিত্যিক খান আফিফা লুনা। এছাড়াও মেঘদূত লেখক পর্ষদ উপদেষ্টা, প্রাবন্ধিক গরীব নেওয়াজ, মেঘদূত সহ-সভাপতি কবি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক প্রফেসর সেলিনা আখতার, কবি আতিয়ার রহমানসহ দুইশতাধিক লেখক, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ী এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।