০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

দুমকিতে মুগডালের বাম্পার ফলন শ্রমিক সংকটে ডাল তোলা ব্যাহত

প্রতিনিধির নাম
দিগন্ত জোড়া মুগডালের আবাদে ছেয়ে গেছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মাঠগুলোতে। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে মূগ ডালের আবাদ। ইতিমধ্যেই সকল মাঠের মুগডাল পাকা শুরু হয়েছে। ডাল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষান কৃষানিরা। তবে শ্রমিক সংকটের কারনে অনেক চাষী  ডাল ঘরে  তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে মুগডালের আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলন‌ও ভালো হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  সারা মাঠজুড়ে কৃষান কৃষানিরা হাসিমুখে মুগ ডাল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোন কোন কৃষক বলেন মুগডাল পাকলেও শ্রমিক না পাওয়ার কারণে মুগ ডাল বাড়িতে তুলতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। মুরাদিয়ার কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন অর্ধেক ভাগে তলুণী দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৪হাজার ১’শ ৭১ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষাবাদ হয়েছে। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন মুগ ডাল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। উপজেলার লেবুখালী, পাঙ্গাশিয়া, শ্রীরামপুর, আঙ্গারিয়া ও মুরাদিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক হারে মুগডাল চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর মুগডালের ফলন ভালো হয়েছে। তবে দেরিতে বৃষ্টি হ‌ওয়ায় পোকায় আক্রমণ করেছিল বলে কতিপয় কৃষক জানান। উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কৃষক মোশাররফ হাওলাদার বলেন, আমি বরাবরই মুগডালের চাষাবাদ করি, এবছর‌ও ৩ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের মুগডালের আবাদ করেছি। পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হলেও বৃষ্টি হ‌ওয়ায় বর্তমানে তা পুষিয়ে গেছে।  মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদিয়ার কৃষক কালাম চৌকিদার বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে ২ একর ৩০শতাংশ জমিতে মুগডালের চাষাবাদ করেছিলাম। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে লোকের অভাবে মুগডাল তোলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। শাহনাজ বেগম নামের এক নারী শ্রমিক মুগডাল তুলতে এসে ক্ষেত থেকে বলেন, আমার নিজের জমি নাই, অন্যের ক্ষেতে ৪ভাগে ডাল তুলছি। এরকম আমার মত অনেকেই এ মৌসুমে ডাল তুলে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
 এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তৎপরতায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবছর মুগডালের চাষাবাদ বেশি হয়েছে। সরকারের কৃষি প্রনোদনায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মুগ ডাল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর কৃষকরা মুগডালের আবাদে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৫২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
৮৯ বার পড়া হয়েছে

দুমকিতে মুগডালের বাম্পার ফলন শ্রমিক সংকটে ডাল তোলা ব্যাহত

আপডেট : ০৬:৫২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩
দিগন্ত জোড়া মুগডালের আবাদে ছেয়ে গেছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মাঠগুলোতে। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে মূগ ডালের আবাদ। ইতিমধ্যেই সকল মাঠের মুগডাল পাকা শুরু হয়েছে। ডাল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষান কৃষানিরা। তবে শ্রমিক সংকটের কারনে অনেক চাষী  ডাল ঘরে  তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে মুগডালের আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলন‌ও ভালো হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  সারা মাঠজুড়ে কৃষান কৃষানিরা হাসিমুখে মুগ ডাল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোন কোন কৃষক বলেন মুগডাল পাকলেও শ্রমিক না পাওয়ার কারণে মুগ ডাল বাড়িতে তুলতে পারব কিনা সন্দেহ আছে। মুরাদিয়ার কৃষক নাসির উদ্দিন বলেন অর্ধেক ভাগে তলুণী দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৪হাজার ১’শ ৭১ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষাবাদ হয়েছে। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন মুগ ডাল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। উপজেলার লেবুখালী, পাঙ্গাশিয়া, শ্রীরামপুর, আঙ্গারিয়া ও মুরাদিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক হারে মুগডাল চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর মুগডালের ফলন ভালো হয়েছে। তবে দেরিতে বৃষ্টি হ‌ওয়ায় পোকায় আক্রমণ করেছিল বলে কতিপয় কৃষক জানান। উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কৃষক মোশাররফ হাওলাদার বলেন, আমি বরাবরই মুগডালের চাষাবাদ করি, এবছর‌ও ৩ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের মুগডালের আবাদ করেছি। পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হলেও বৃষ্টি হ‌ওয়ায় বর্তমানে তা পুষিয়ে গেছে।  মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদিয়ার কৃষক কালাম চৌকিদার বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে ২ একর ৩০শতাংশ জমিতে মুগডালের চাষাবাদ করেছিলাম। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে লোকের অভাবে মুগডাল তোলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। শাহনাজ বেগম নামের এক নারী শ্রমিক মুগডাল তুলতে এসে ক্ষেত থেকে বলেন, আমার নিজের জমি নাই, অন্যের ক্ষেতে ৪ভাগে ডাল তুলছি। এরকম আমার মত অনেকেই এ মৌসুমে ডাল তুলে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
 এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তৎপরতায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবছর মুগডালের চাষাবাদ বেশি হয়েছে। সরকারের কৃষি প্রনোদনায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মুগ ডাল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর কৃষকরা মুগডালের আবাদে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।