০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ধর্ষণের শিকার সেই শিশুকে মাদরাসায় ফিরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ

প্রতিনিধির নাম
রাজশাহী নগরীতে ধর্ষণের শিকার শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি)। রোববার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২১ মার্চ প্রতিবেশী এক কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরদিন এই ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই শিশুর মা-বাবা তাকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করান। কিন্তু কিছুদিন পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের শিকারের বিষয়টি জানার পর শিশুটির ভর্তি বাতিল করে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারের সামাজিকভাবে হেনস্তা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল শিশুটির ভর্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, বিষয়টি তাঁর নজরে আসামাত্র তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই মাদরাসায় গিয়ে শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি কেউ যদি এর আগেই তাঁদের নজরে নিয়ে আসতেন, তাহলে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশের আগেই স্থানীয়ভাবে তাঁরা ব্যবস্থা নিতে পারতেন।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজের কোনো ভিটেমাটি নেই। তিনি অটোরিকশা চালান। স্বামী ও তিন সন্তানের সংসারের অভাব দূর করতে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়া হিসেবে চাকরি করেন শিশুর মা।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
১৮৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ষণের শিকার সেই শিশুকে মাদরাসায় ফিরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ

আপডেট : ০৩:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
রাজশাহী নগরীতে ধর্ষণের শিকার শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি)। রোববার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২১ মার্চ প্রতিবেশী এক কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরদিন এই ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই শিশুর মা-বাবা তাকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করান। কিন্তু কিছুদিন পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের শিকারের বিষয়টি জানার পর শিশুটির ভর্তি বাতিল করে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরিবারের সামাজিকভাবে হেনস্তা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসার পর রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল শিশুটির ভর্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, বিষয়টি তাঁর নজরে আসামাত্র তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই মাদরাসায় গিয়ে শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি কেউ যদি এর আগেই তাঁদের নজরে নিয়ে আসতেন, তাহলে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশের আগেই স্থানীয়ভাবে তাঁরা ব্যবস্থা নিতে পারতেন।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজের কোনো ভিটেমাটি নেই। তিনি অটোরিকশা চালান। স্বামী ও তিন সন্তানের সংসারের অভাব দূর করতে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়া হিসেবে চাকরি করেন শিশুর মা।