০৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী দিয়ে দরপত্র জমাদিতে বাধাঁ । মারপিট করে দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ।

রাশেদুল ইসলাম জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহত দানাদার ইউরিয়া উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সারকারখানা (জেএফসিএল) কোম্পানী লিমিটেড  এর উৎপাদিত সার বাফার গোডাউনে লোড  করার জন্য গত-১৭/৮/২০২৩ ইং তারিখে  ট্রেন্ডার আহবান করে যার সুত্র নং জেএফসিএল/বিপপন /বাফার(শম্ভুগঞ্জ)/২০২৩-২০২৪/১২১ ইং তারিখে দরপত্র বিক্রি করে যমুনা সারকারখানা কতৃপক্ষ ।

ট্রেন্ডারে উল্লেখিত শর্ত মেনে দরপত্র সংগ্রহ করে একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । ট্রেন্ডারে উল্লেখিত ৪/৯/২০২৩ইং  তারিখ বেলা ১২ ঘটিকা পর্যন্ত দরপত্র দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয় ।

পরিকল্পিত ভাবে দরপত্র জমাদানের  একটি বাক্স ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বাফার গোডাউন শম্ভুগঞ্জ কার্যালয়ে রাখাহয় । নিদিষ্ঠ তারিখে সকল শর্ত মেনে দরপত্র জমা দিতে যায় বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ।সকাল ১০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়ে শম্ভুগঞ্জ বাফার গোডাউনে জমা দিতে যান ।

কিন্ত সেখানে গেলে বাধেঁ বিপত্তি পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে কোন নিদিষ্ঠ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে গোপনে আতাত করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দরপত্র জমা দানে বাধা প্রদান ও মারপিট করে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়  সন্ত্রাসীদের নিদিষ্ঠ ঘরে আটকে রাখে ।

দরপত্র জমা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার সিকার হন মেসার্স কেবি কনষ্ট্রাশন কোম্পানীর প্রতিনিধি এরশাদুল আলম । তিনি জানান আমি সকাল সারে ১০ টার দিকে শম্ভুগঞ্জ বাফার গোডাউনে দরপত্রটি জমা দিতে যাই । সেখানে যাবার সাথেসাথে একদল সন্ত্রাসী আমাকে এটাক করে আমার দরপত্রটি ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে কিল ঘুসি মেরে সন্ত্রাসীদের নিদিষ্ঠ ঘরে আটকে রাখে এবং মোবাইল ফোন কেডে নেয় ।

অভিযোগ করেন মেসার্স  মা ট্রেডার্স এর প্রতিনিধ মো: মানিক মিয়া  তিনি জানান আমি প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরপত্রটি জমা দিতে গেলে আমাকে বাধা দেয় একদল ভদ্র বেশী দলীয় সন্ত্রাস বরে এখানে যাওয়া যাবেনা চলে যান সেখান থেকে  ব্যর্থ  হয়ে সকাল ১১টার সময়  শম্ভুগঞ্জ  বাফার গোডাউনে আসি সেখানে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে এটাক করে একদল সন্ত্রাসী ছিনিয়ে নেয় আমার দরপত্র খামটি টেনে হিছরে নিয়ে যায় গোডাউন থেকে একটু দুরে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে এবংআমার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় । ১২টা ৩০ মিটিনে দরপত্র খামটি ও মোবাইল ফোন সহ আমকে ছেড়ে দেয় । অভিযোগ করেন মাজেদা এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি মোতালেব মিয়া একই ঘটনা তার সাথেও হয়েছে । শম্ভুগঞ্জ বাফার গোডাউনের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ এর কাছে বিষয়টি জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি । আনসার  পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে অথচ কোন প্রতিবাদ করেনি ।

এ বিষয়ে মেসার্স কেবি কনষ্ট্রাশন কোম্পানী ,মেসার্স মা ট্রেডার্স ,মেসার্স মাজেদা এন্টার প্রাইজ প্রত্যেকেই উপরে  উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে লিখিত অভিযোগ করেছেন ।

বাফার গোডাউনে দরপত্র জমা দানে সন্ত্রাসীদের বাধা দরপত্র ছিনাই বিষয়ে অভিযোগ  এর বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক  (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন এর কাছে জানতে তাহার মোবাইল ফোনে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তাহার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।

এ বিষয়ে ২নং পোগলদিঘা ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তারাকান্দি ট্রাক টেংস্ক লড়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদ আশরাফুল আলম মানিক জানান বিষয়টি আমি জেনেছি এবং যমুনা সারকারখান কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবো বলে জানিয়েছেন ।

এলাকার ব্যবসায়ী সহলের দাবী উপরোক্ত বিষয়টি তদন্ত পুর্ব ক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১০২ বার পড়া হয়েছে

পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী দিয়ে দরপত্র জমাদিতে বাধাঁ । মারপিট করে দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ।

আপডেট : ১২:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহত দানাদার ইউরিয়া উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সারকারখানা (জেএফসিএল) কোম্পানী লিমিটেড  এর উৎপাদিত সার বাফার গোডাউনে লোড  করার জন্য গত-১৭/৮/২০২৩ ইং তারিখে  ট্রেন্ডার আহবান করে যার সুত্র নং জেএফসিএল/বিপপন /বাফার(শম্ভুগঞ্জ)/২০২৩-২০২৪/১২১ ইং তারিখে দরপত্র বিক্রি করে যমুনা সারকারখানা কতৃপক্ষ ।

ট্রেন্ডারে উল্লেখিত শর্ত মেনে দরপত্র সংগ্রহ করে একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । ট্রেন্ডারে উল্লেখিত ৪/৯/২০২৩ইং  তারিখ বেলা ১২ ঘটিকা পর্যন্ত দরপত্র দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয় ।

পরিকল্পিত ভাবে দরপত্র জমাদানের  একটি বাক্স ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বাফার গোডাউন শম্ভুগঞ্জ কার্যালয়ে রাখাহয় । নিদিষ্ঠ তারিখে সকল শর্ত মেনে দরপত্র জমা দিতে যায় বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ।সকাল ১০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়ে শম্ভুগঞ্জ বাফার গোডাউনে জমা দিতে যান ।

কিন্ত সেখানে গেলে বাধেঁ বিপত্তি পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে কোন নিদিষ্ঠ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে গোপনে আতাত করে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দরপত্র জমা দানে বাধা প্রদান ও মারপিট করে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়  সন্ত্রাসীদের নিদিষ্ঠ ঘরে আটকে রাখে ।

দরপত্র জমা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার সিকার হন মেসার্স কেবি কনষ্ট্রাশন কোম্পানীর প্রতিনিধি এরশাদুল আলম । তিনি জানান আমি সকাল সারে ১০ টার দিকে শম্ভুগঞ্জ বাফার গোডাউনে দরপত্রটি জমা দিতে যাই । সেখানে যাবার সাথেসাথে একদল সন্ত্রাসী আমাকে এটাক করে আমার দরপত্রটি ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে কিল ঘুসি মেরে সন্ত্রাসীদের নিদিষ্ঠ ঘরে আটকে রাখে এবং মোবাইল ফোন কেডে নেয় ।

অভিযোগ করেন মেসার্স  মা ট্রেডার্স এর প্রতিনিধ মো: মানিক মিয়া  তিনি জানান আমি প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরপত্রটি জমা দিতে গেলে আমাকে বাধা দেয় একদল ভদ্র বেশী দলীয় সন্ত্রাস বরে এখানে যাওয়া যাবেনা চলে যান সেখান থেকে  ব্যর্থ  হয়ে সকাল ১১টার সময়  শম্ভুগঞ্জ  বাফার গোডাউনে আসি সেখানে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে এটাক করে একদল সন্ত্রাসী ছিনিয়ে নেয় আমার দরপত্র খামটি টেনে হিছরে নিয়ে যায় গোডাউন থেকে একটু দুরে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে এবংআমার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় । ১২টা ৩০ মিটিনে দরপত্র খামটি ও মোবাইল ফোন সহ আমকে ছেড়ে দেয় । অভিযোগ করেন মাজেদা এন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি মোতালেব মিয়া একই ঘটনা তার সাথেও হয়েছে । শম্ভুগঞ্জ বাফার গোডাউনের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ এর কাছে বিষয়টি জানালেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি । আনসার  পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে অথচ কোন প্রতিবাদ করেনি ।

এ বিষয়ে মেসার্স কেবি কনষ্ট্রাশন কোম্পানী ,মেসার্স মা ট্রেডার্স ,মেসার্স মাজেদা এন্টার প্রাইজ প্রত্যেকেই উপরে  উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে লিখিত অভিযোগ করেছেন ।

বাফার গোডাউনে দরপত্র জমা দানে সন্ত্রাসীদের বাধা দরপত্র ছিনাই বিষয়ে অভিযোগ  এর বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক  (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন এর কাছে জানতে তাহার মোবাইল ফোনে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তাহার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।

এ বিষয়ে ২নং পোগলদিঘা ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তারাকান্দি ট্রাক টেংস্ক লড়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদ আশরাফুল আলম মানিক জানান বিষয়টি আমি জেনেছি এবং যমুনা সারকারখান কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবো বলে জানিয়েছেন ।

এলাকার ব্যবসায়ী সহলের দাবী উপরোক্ত বিষয়টি তদন্ত পুর্ব ক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন