০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

পাইকগাছায় তিন নদীর মোহনায় ভাংগন; আতংকে ৪ ইউনিয়নের বাসিন্দা

প্রতিনিধির নাম

পাইকগাছায় শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনায় কুমখালীর খুদখালী নদীতে আবারও ভাংগন লেগেছে। নদী গর্ভে চলে গেছে গড়ুইখালী ইউনিয়নের প্রধান সড়কের বিশাল অংশ। বন্ধ হয়ে গেছে যাতায়ত ব্যবস্থা। ৪ টি ইউনিয়নের ৫২ টি গ্রামের লাখ লাখ মানুষজলবদ্ধতার আতংকে রয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণে সুন্দরবন উপকুল সংলগ্ন এলাকা কুমখালীর খুদখালী এলাকা। শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনা বার বার ভাংগনের কারণে প্রায় ৫০ টি পরিবার ভিটেবাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে । ইতোপূর্বে বর্ষ মৌসুমে ভাংগন লাগলেও চলতি বছর লেগেছে গরমকালে ভাংগন শুরু হয়েছে।তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু খুলনা-৬ সংসদ সদস্যের নির্দেশে তাৎক্ষনিক লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সাময়িক বিকল্প বাঁধ দিয়েছেন বলে তিনি জানান। গত বুধবার প্রায় হাফ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইউনিয়ণের প্রধান পাকা সড়ক ভাংগন কবলে পড়ে। স্থানীয়রা জানায় আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আগামী বর্ষ মৌসুেেমর আগে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী, চাঁদখালী, কয়রা উপজেলার আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৫২ টি গ্রামের লাখ লাখ লোক জলাবদ্ধতার শিকার হবে এমন আতংকে রয়েছে । স্থানীয় সেলিম শেখ জানান বিগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলার পর থেকে প্রতি বছর আমরা ভাংগনের কবলে পড়েছি। কতৃপক্ বালির বস্তা ফেলে সাময়িক বন্ধ করলেও স্থায়ী কোন সমাধানের ব্যবস্থা নেয়নি। খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন,পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জেলা কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করার পর তারা সম্প্রতি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত ভাংগনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৯:৪৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
৯৭ বার পড়া হয়েছে

পাইকগাছায় তিন নদীর মোহনায় ভাংগন; আতংকে ৪ ইউনিয়নের বাসিন্দা

আপডেট : ০৯:৪৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

পাইকগাছায় শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনায় কুমখালীর খুদখালী নদীতে আবারও ভাংগন লেগেছে। নদী গর্ভে চলে গেছে গড়ুইখালী ইউনিয়নের প্রধান সড়কের বিশাল অংশ। বন্ধ হয়ে গেছে যাতায়ত ব্যবস্থা। ৪ টি ইউনিয়নের ৫২ টি গ্রামের লাখ লাখ মানুষজলবদ্ধতার আতংকে রয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণে সুন্দরবন উপকুল সংলগ্ন এলাকা কুমখালীর খুদখালী এলাকা। শিবসা, মিনহাজ ও ঢাকী নদীর মোহনা বার বার ভাংগনের কারণে প্রায় ৫০ টি পরিবার ভিটেবাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে । ইতোপূর্বে বর্ষ মৌসুমে ভাংগন লাগলেও চলতি বছর লেগেছে গরমকালে ভাংগন শুরু হয়েছে।তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু খুলনা-৬ সংসদ সদস্যের নির্দেশে তাৎক্ষনিক লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সাময়িক বিকল্প বাঁধ দিয়েছেন বলে তিনি জানান। গত বুধবার প্রায় হাফ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইউনিয়ণের প্রধান পাকা সড়ক ভাংগন কবলে পড়ে। স্থানীয়রা জানায় আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আগামী বর্ষ মৌসুেেমর আগে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়া হলে পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী, চাঁদখালী, কয়রা উপজেলার আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৫২ টি গ্রামের লাখ লাখ লোক জলাবদ্ধতার শিকার হবে এমন আতংকে রয়েছে । স্থানীয় সেলিম শেখ জানান বিগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলার পর থেকে প্রতি বছর আমরা ভাংগনের কবলে পড়েছি। কতৃপক্ বালির বস্তা ফেলে সাময়িক বন্ধ করলেও স্থায়ী কোন সমাধানের ব্যবস্থা নেয়নি। খুলনা-৬ সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন,পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জেলা কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করার পর তারা সম্প্রতি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত ভাংগনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।