০২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

পূর্বধলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
নেত্রকোনার পূর্বধলায় ছদ্মবেশে র্দীঘ ২০ বছর আত্মগোপনে থাকা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আব্দুল হামিদ (৪০) কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১৪ একটি দল। মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে ময়মনসিংহ কতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। র‌্যাব-১৪ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামী হামিদকে আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করে। র‌্যাব-১৪’র সিনিয়র এএসপি সবুজ রানা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
র‌্যাব-১৪ সূত্রে জানা গেছে, আঃ হামিদ একই গ্রামের ভিকটিমের বড় বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক বছর পর হামিদ তার শ্যালিকা রোজিনা বেগমকে গত ২০০৩ সালের ৪ আগষ্ট স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়ীতে উঠিয়ে অপহরণ করে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন দিন আটক রেখে ভিকটিমকে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আহত অবস্থায় ফেলে বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিম রোজিনা বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের লোকজনকে বড় বোন জামাই কর্তৃক অপহৃত হয়ে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করে। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শ্যালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার ঘটনায় জামাতা আব্দুল হামিদকে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল হামিদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আসামী হামিদ তার আসল নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয় পত্রে ছদ্মনাম ধারন করে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় ছদ্মবেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
অপরদিকে নেত্রকোণা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১২ সালে আসামী আঃ হামিদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩ এর ৯ (১) ধারার ধর্ষনের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক পলাতক আসামী আঃ হামিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপহরণ করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অতিরিক্ত আরো ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:১৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
৯০ বার পড়া হয়েছে

পূর্বধলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৬:১৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
নেত্রকোনার পূর্বধলায় ছদ্মবেশে র্দীঘ ২০ বছর আত্মগোপনে থাকা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আব্দুল হামিদ (৪০) কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১৪ একটি দল। মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে ময়মনসিংহ কতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। র‌্যাব-১৪ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামী হামিদকে আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করে। র‌্যাব-১৪’র সিনিয়র এএসপি সবুজ রানা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
র‌্যাব-১৪ সূত্রে জানা গেছে, আঃ হামিদ একই গ্রামের ভিকটিমের বড় বোনকে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক বছর পর হামিদ তার শ্যালিকা রোজিনা বেগমকে গত ২০০৩ সালের ৪ আগষ্ট স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়ীতে উঠিয়ে অপহরণ করে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন দিন আটক রেখে ভিকটিমকে একাধিক বার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আহত অবস্থায় ফেলে বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে ভিকটিম রোজিনা বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের লোকজনকে বড় বোন জামাই কর্তৃক অপহৃত হয়ে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করে। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শ্যালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার ঘটনায় জামাতা আব্দুল হামিদকে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে আব্দুল হামিদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আসামী হামিদ তার আসল নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয় পত্রে ছদ্মনাম ধারন করে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় ছদ্মবেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
অপরদিকে নেত্রকোণা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০১২ সালে আসামী আঃ হামিদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩ এর ৯ (১) ধারার ধর্ষনের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক পলাতক আসামী আঃ হামিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং অপহরণ করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় অতিরিক্ত আরো ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।