০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

প্রভাবশালীরা বিনষ্ট করলো গরিব কৃষকের ধান ক্ষেত 

প্রতিনিধির নাম
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক কৃষকের রেকডীও ফসলী জমি নিজের দাবী করে রোপনকৃত জমির বোরো ধান বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে।
 দুপুরে উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা গোলাপুর মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তোভ‚গী কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ১৯৯৪ সালে বিক্রয় কবলা মূল্যে তাঁরা পাঁচ ভাই একই গ্রামের জাফর উদ্দিনের কাছে থেকে ৫০ শতক ফসলী জমি কিনে নেন। এরপর ক্রেতা হিসেবে আমরা ওই জমি নিজের নামে নামজারী করে নিয়মিত ভ‚মি কর দেওয়ার পাশাপাশি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে ওই জমির বিক্রেতা জাফর আলী মারা যান।
তারপরও আমরা ওই চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমি নিজের দাবী করে মৃত জাফর আলীর ভাতিজি জামাই রঞ্জু গংরা বুধবার  রাতের অন্ধকারে আমাদের জমিতে লাগানো বোরো ধান কুপিয়ে, তুলে, কেটে নষ্ট করেন।
আবারও আমরা নতুন করে ওই জমিতে ধান রোপন করি। তার পরও আবারও তাঁরা জমির চারা নষ্ট করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, রঞ্জুগংদের অতি বারাবারি এবং জমি দখলের পায়তারা করার জন্য ইতিপূর্বে বিষয়টি সুরহা জন্য আমরা তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কাছের লিখিত অভিযোগও দেই। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দু দফা শালিসের জন্য রঞ্জুগংদের নোটিশ করলেও তাঁরা হাজির হননি। বরং তাঁরা আমাদের লাগানো উঠতি বোরো ধান বিনষ্ট করেছেন। আর এর প্রতিবাদ করায় প্রভাবশালী রঞ্জু গংরা আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে রঞ্জু বলেন, জমি জমা কাগজের উপর নির্ভলশীল। আমার স্ত্রীও ওয়ারিশ। তাই বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।
এ দিকে তালম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক জানান, সংঘাত এড়াতে আব্দুল জলিলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রঞ্জুগংদের দুই বার শালিসের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হলে তাঁরা হাজির হননি। উপরোন্ত একজন কৃষকের উঠতি বোরো ধান বিনষ্ট করে তাঁরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অন্যায় করেছেন। এ জন্য বাদী আব্দুল জলিল কে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
অপর দিকে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যাগস :
আপডেট : ১০:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
১৩৮ বার পড়া হয়েছে

প্রভাবশালীরা বিনষ্ট করলো গরিব কৃষকের ধান ক্ষেত 

আপডেট : ১০:৪১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক কৃষকের রেকডীও ফসলী জমি নিজের দাবী করে রোপনকৃত জমির বোরো ধান বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে।
 দুপুরে উপজেলার তালম ইউনিয়নের গুল্টা গোলাপুর মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তোভ‚গী কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ১৯৯৪ সালে বিক্রয় কবলা মূল্যে তাঁরা পাঁচ ভাই একই গ্রামের জাফর উদ্দিনের কাছে থেকে ৫০ শতক ফসলী জমি কিনে নেন। এরপর ক্রেতা হিসেবে আমরা ওই জমি নিজের নামে নামজারী করে নিয়মিত ভ‚মি কর দেওয়ার পাশাপাশি ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে ওই জমির বিক্রেতা জাফর আলী মারা যান।
তারপরও আমরা ওই চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমি নিজের দাবী করে মৃত জাফর আলীর ভাতিজি জামাই রঞ্জু গংরা বুধবার  রাতের অন্ধকারে আমাদের জমিতে লাগানো বোরো ধান কুপিয়ে, তুলে, কেটে নষ্ট করেন।
আবারও আমরা নতুন করে ওই জমিতে ধান রোপন করি। তার পরও আবারও তাঁরা জমির চারা নষ্ট করে দেয়।
তিনি আরো বলেন, রঞ্জুগংদের অতি বারাবারি এবং জমি দখলের পায়তারা করার জন্য ইতিপূর্বে বিষয়টি সুরহা জন্য আমরা তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক কাছের লিখিত অভিযোগও দেই। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দু দফা শালিসের জন্য রঞ্জুগংদের নোটিশ করলেও তাঁরা হাজির হননি। বরং তাঁরা আমাদের লাগানো উঠতি বোরো ধান বিনষ্ট করেছেন। আর এর প্রতিবাদ করায় প্রভাবশালী রঞ্জু গংরা আমাদেরকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে রঞ্জু বলেন, জমি জমা কাগজের উপর নির্ভলশীল। আমার স্ত্রীও ওয়ারিশ। তাই বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।
এ দিকে তালম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক জানান, সংঘাত এড়াতে আব্দুল জলিলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রঞ্জুগংদের দুই বার শালিসের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হলে তাঁরা হাজির হননি। উপরোন্ত একজন কৃষকের উঠতি বোরো ধান বিনষ্ট করে তাঁরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি অন্যায় করেছেন। এ জন্য বাদী আব্দুল জলিল কে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
অপর দিকে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।