০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ফুলে ফুলে এক টুকরো স্বর্গরাজ্য পশ্চিমা রেলওয়ে ভবন

প্রতিনিধির নাম

প্রকৃতি থেকে ঋতুরাজ বসন্তের বিদায় হলো বহুদিন। নেমে এলো খাঁ খাঁ রোদ্দুর, তপ্ত বাতাস, চারদিকের নিঝুম, নিঃস্তব্ধ, ঝিমধরা প্রকৃতি আর ঘামে দরদর তৃষ্ণার্ত পথিকের আগমন স্মরণ করে দেয় গ্রীষ্মের কথা। সেই প্রতিচ্ছবিই যেন বাস্তবে রূপ নিয়েছে গ্রীষ্মকালে রাজশাহী।

কিন্তুু রাজশাহী জেনারেল ম্যানেজার (পশ্চিমাঞ্চল) এর কার্যালয় বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলভবনের ভেতর ঠুকলে যেন মন জুড়ে যায়। মনে হয় যেন একবার ঘুরে ঘুরে দু’চোখ ভোরে এই ভবনটি। বিভিন্ন নাম জানা অজানা ফুলের গন্ধে যেন মনমুগ্ধকর পরিবেশ। হারানো যৌবন পেয়ে নিজেকে ভরে তুলেছে ফুলে আর ফুলে। রঙিন এসব ফুলে বর্ণিল জেনারেল ম্যানেজার (পশ্চিমাঞ্চল) এর কার্যালয় রেলওয়ে এই সবুজ চত্বর। প্রচন্ড খরতাপেও প্রকৃতিকে বসন্তের রঙে সাজিয়েছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, কাঠগোলাপ, রক্ত জবা, বকুলসহ নাম না জানা বাহারি জাতের ফুল।

এছাড়াও রেল ভবনের বিভিন্ন প্রান্তের বড় বড় কৃষ্ণচূড়ার সবুজ পাতার ফাঁকে লাল পাপড়ি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলকের দুই পাশে সারফিনিয়া ফুলের গোলাপী আর সাদা পাপড়ি দিয়ে করেছেন গোলবৃত্ত দেখে হৃদয় ছুয়ে যায় নিরবে।

যেন কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িগুলো খসতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। গাছের শাখায়ও গজিয়েছে নতুন পাতা। সেই কচি পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম পাপড়ি। জারুল তার বেগুনি আভায় প্রকৃতিতে দিয়েছে নতুন মাত্রা। জারুলের বেগুনি আভায় মনোহারা রেল ভবনের কর্মচারীরা । রঙিন গাছে পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে হলুদ ফুলের ঝর্ণা। মাঝারি আকৃতির গাছগুলোতে যেন দোল খাচ্ছে কিশোরীর কানের দুল। আর প্রেমিকার কানে কাঠগোলাপের শুভ্রকোমল পাপড়ি যেন বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রেমের মহিমা। প্রকৃতির এমনই সৌন্দর্য মন ভরিয়ে দিচ্ছে সবার ।

দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিবেদকে রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন ফুল আসলে মনের খুদা মেটানোর জন্য, ফুল একটা চমৎকার জিনিস আমি প্রতিদিন সকালেই দেখি, এই বাগানে ৩৭ প্রকার ফুল আছে।

এখানে একটা থিম আছে, বঙ্গবন্ধু আছে,সামনে বাংলা দেশের জাতীয় পতাকা আছে,মানচিত্র আছে, এবং বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে লাল সুবুজ গেট আছে, মাঝখানে লাল চারদিকে সবুজ যা আমাদের জাতীয় পতাকে দৃশ্যমান অর্থাৎ আমার ভালো লাগা দেশের যে মানচিত্র ও দেশের জাতীয় পতাকাকে জড়িয়ে রাখা, এটা আমার অস্তিত্ব এটা আমার শেখর, আসলে আমি বাগানটা ঘরে থেকেও দেখি।

শুধু আমি না এখানে অনেক লোক আসে, আবার আমার সাথে দেখাও করে তাদের ভালো লাগা থেকে। সুতরাং আমি মনে করি এই যে আনন্দ মধ্যে কোন খাত নেই আপনার মনকে প্রফুলতা ও পবিত্রা করে তুলবে ফুল। এজন্য এটা তৈরী করা, এটা এ দিনে হয়নি প্রায় ৮ মাস সময় লেগেছে। আমার নিজ হাতে তৈরী করা। বাগানে আপনি কি সার দেন?
তিনি বলেন বাগানের খাদ্য হলো কলার খোসা, আর ১কেজি খোল দিয়ে আমার ১০০ কেজি সাব তৈরী করি এগুলোই বাগানে দিয়ে খুবই কম খরচে বাগান পরিচর্চা করি, এটা সবাই করতে পারে।আমি মনে করি এটা আমার সফলতা। তবে ভবিষ্যতে আমি আরো ফুল গাছ তৈরি করব।

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
১০২ বার পড়া হয়েছে

ফুলে ফুলে এক টুকরো স্বর্গরাজ্য পশ্চিমা রেলওয়ে ভবন

আপডেট : ১২:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

প্রকৃতি থেকে ঋতুরাজ বসন্তের বিদায় হলো বহুদিন। নেমে এলো খাঁ খাঁ রোদ্দুর, তপ্ত বাতাস, চারদিকের নিঝুম, নিঃস্তব্ধ, ঝিমধরা প্রকৃতি আর ঘামে দরদর তৃষ্ণার্ত পথিকের আগমন স্মরণ করে দেয় গ্রীষ্মের কথা। সেই প্রতিচ্ছবিই যেন বাস্তবে রূপ নিয়েছে গ্রীষ্মকালে রাজশাহী।

কিন্তুু রাজশাহী জেনারেল ম্যানেজার (পশ্চিমাঞ্চল) এর কার্যালয় বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলভবনের ভেতর ঠুকলে যেন মন জুড়ে যায়। মনে হয় যেন একবার ঘুরে ঘুরে দু’চোখ ভোরে এই ভবনটি। বিভিন্ন নাম জানা অজানা ফুলের গন্ধে যেন মনমুগ্ধকর পরিবেশ। হারানো যৌবন পেয়ে নিজেকে ভরে তুলেছে ফুলে আর ফুলে। রঙিন এসব ফুলে বর্ণিল জেনারেল ম্যানেজার (পশ্চিমাঞ্চল) এর কার্যালয় রেলওয়ে এই সবুজ চত্বর। প্রচন্ড খরতাপেও প্রকৃতিকে বসন্তের রঙে সাজিয়েছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, কাঠগোলাপ, রক্ত জবা, বকুলসহ নাম না জানা বাহারি জাতের ফুল।

এছাড়াও রেল ভবনের বিভিন্ন প্রান্তের বড় বড় কৃষ্ণচূড়ার সবুজ পাতার ফাঁকে লাল পাপড়ি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিফলকের দুই পাশে সারফিনিয়া ফুলের গোলাপী আর সাদা পাপড়ি দিয়ে করেছেন গোলবৃত্ত দেখে হৃদয় ছুয়ে যায় নিরবে।

যেন কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িগুলো খসতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। গাছের শাখায়ও গজিয়েছে নতুন পাতা। সেই কচি পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম পাপড়ি। জারুল তার বেগুনি আভায় প্রকৃতিতে দিয়েছে নতুন মাত্রা। জারুলের বেগুনি আভায় মনোহারা রেল ভবনের কর্মচারীরা । রঙিন গাছে পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে হলুদ ফুলের ঝর্ণা। মাঝারি আকৃতির গাছগুলোতে যেন দোল খাচ্ছে কিশোরীর কানের দুল। আর প্রেমিকার কানে কাঠগোলাপের শুভ্রকোমল পাপড়ি যেন বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রেমের মহিমা। প্রকৃতির এমনই সৌন্দর্য মন ভরিয়ে দিচ্ছে সবার ।

দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিবেদকে রাজশাহী রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন ফুল আসলে মনের খুদা মেটানোর জন্য, ফুল একটা চমৎকার জিনিস আমি প্রতিদিন সকালেই দেখি, এই বাগানে ৩৭ প্রকার ফুল আছে।

এখানে একটা থিম আছে, বঙ্গবন্ধু আছে,সামনে বাংলা দেশের জাতীয় পতাকা আছে,মানচিত্র আছে, এবং বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে লাল সুবুজ গেট আছে, মাঝখানে লাল চারদিকে সবুজ যা আমাদের জাতীয় পতাকে দৃশ্যমান অর্থাৎ আমার ভালো লাগা দেশের যে মানচিত্র ও দেশের জাতীয় পতাকাকে জড়িয়ে রাখা, এটা আমার অস্তিত্ব এটা আমার শেখর, আসলে আমি বাগানটা ঘরে থেকেও দেখি।

শুধু আমি না এখানে অনেক লোক আসে, আবার আমার সাথে দেখাও করে তাদের ভালো লাগা থেকে। সুতরাং আমি মনে করি এই যে আনন্দ মধ্যে কোন খাত নেই আপনার মনকে প্রফুলতা ও পবিত্রা করে তুলবে ফুল। এজন্য এটা তৈরী করা, এটা এ দিনে হয়নি প্রায় ৮ মাস সময় লেগেছে। আমার নিজ হাতে তৈরী করা। বাগানে আপনি কি সার দেন?
তিনি বলেন বাগানের খাদ্য হলো কলার খোসা, আর ১কেজি খোল দিয়ে আমার ১০০ কেজি সাব তৈরী করি এগুলোই বাগানে দিয়ে খুবই কম খরচে বাগান পরিচর্চা করি, এটা সবাই করতে পারে।আমি মনে করি এটা আমার সফলতা। তবে ভবিষ্যতে আমি আরো ফুল গাছ তৈরি করব।