১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

মোশতাকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তিশাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

মো. বেল্লাল হাওলাদার

দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর রিপোর্টার মো. সাইফুল ইসলামের মেয়ে সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে কুখ্যাত অনাচার, নারী লিপ্সু, প্রতারক খন্দকার মোস্তাকের হাত থেকে ফেরত পেতে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি-২০২৪) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর ব্যানারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তিশার বাবা দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর রিপোর্টার মো. সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মো. আমিনুল ইসলাম, চীফ রিপোর্টার মো. জাহিদুর রহমান, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার নুরনবী, সিনিয়র রিপোর্টার ফাইকুজ জামান ফরিদ ও স্টাফ রিপোর্টার মো.বেল্লাল হাওলাদারসহ আরো অনেকেই। সাংবাদিকগণ কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, খন্দকার মুশতাক একজন নারী পিপাসু, প্রতারক। অপ্রাপ্তবয়স্ক তিশাকে জিম্মি করে বিবাহ করে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কুখ্যাত মুশতাক এই সমাজের জন্য ভাইরাস তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বক্তারা। বক্রতারা আরো বলেন, একটা মেয়ে কতটা জিম্মি হলে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। তিশাকে খুব রেস্ট্রিকসনে রাখে, তাকে মোবাইলেও কথা বলতে দেয় না। কথা বলতে দিলে মুশতাক পাশে বসে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ সমাচারের সাংবাদিকগণ।তিশার বাবা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে তিশাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেছেন মুশতাক। একদিন আমার স্ত্রী তিশাকে বলছিল, মুশতাকের কাছ থেকে না এলে তোমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যাবে? জবাবে তিশা বলেন, আম্মু আমার অনেক অশ্লীল ছবি ওর (মুশতাক) কাছে আছে। ছবিগুলো দিলে লাথি দিয়ে চলে আসতাম। তিনি আরো বলেন, পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতা বিলুপ্ত হওয়ার পর কোন বাবা মা যেমন ঘৃণাভরে কোন ছেলের নাম রাখে নাই মির্জাফর ঠিক তেমনি ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর কোন বাবা মা ঘৃণাভরে কোন ছেলের নাম রাখবে না খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ৭৫ এর খন্দকার মুশতাক আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর যেমন বাঙ্গালি জাতিকে এতিম বানিয়েছিল ঠিক তেমনি আজকের খন্দকার মুশতাক আহমেদ জাতির কন্যাদেরকে ব্ল্যাকমেইল, অপহরণ, ধর্ষণ ও ভবিষ্যতের স্বপ্নকে খুন করে যেন সেই খুনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। মুশতাক কর্তৃক তিশার ব্ল্যাকমেইল,অপহরণ, ধর্ষণ কুখ্যাত খন্দকার মুশতাক আহমেদের ধারাবাহিক কু-কর্মের খন্ডচিত্র মাত্র। তিনি বলেন প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আমার স্বপ্ন ছিল অনেক সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে খন্দকার মুস্তাক। আমাকে গভীর রাতে বিভিন্ন লোক দ্বারা ফোন দিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে যাতে আমি থেমে যাই এমনকি যারা আমার পক্ষে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরকেও হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাচ্ছেন। আপনারা আমার পাশে থাকবেন আপনারা পাশে থাকলে আমি সাহস পাই পুরো দেশবাসীর আমি সহযোগিতা সহমর্মিতা কামনা করি।

সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সি বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ঢাকার একুশে বইমেলায় গিয়েও হেনস্তার শিকার হন এ দম্পতি।

১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে। এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখনো বিষয়টি বিচারাধীন।

ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিশা এবং খন্দকার মুশতাক ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:২২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
১৭৮ বার পড়া হয়েছে

মোশতাকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তিশাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ০৫:২২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর রিপোর্টার মো. সাইফুল ইসলামের মেয়ে সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে কুখ্যাত অনাচার, নারী লিপ্সু, প্রতারক খন্দকার মোস্তাকের হাত থেকে ফেরত পেতে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি-২০২৪) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর ব্যানারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তিশার বাবা দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর রিপোর্টার মো. সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মো. আমিনুল ইসলাম, চীফ রিপোর্টার মো. জাহিদুর রহমান, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার নুরনবী, সিনিয়র রিপোর্টার ফাইকুজ জামান ফরিদ ও স্টাফ রিপোর্টার মো.বেল্লাল হাওলাদারসহ আরো অনেকেই। সাংবাদিকগণ কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, খন্দকার মুশতাক একজন নারী পিপাসু, প্রতারক। অপ্রাপ্তবয়স্ক তিশাকে জিম্মি করে বিবাহ করে আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কুখ্যাত মুশতাক এই সমাজের জন্য ভাইরাস তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন বক্তারা। বক্রতারা আরো বলেন, একটা মেয়ে কতটা জিম্মি হলে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে। তিশাকে খুব রেস্ট্রিকসনে রাখে, তাকে মোবাইলেও কথা বলতে দেয় না। কথা বলতে দিলে মুশতাক পাশে বসে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ সমাচারের সাংবাদিকগণ।তিশার বাবা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে তিশাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেছেন মুশতাক। একদিন আমার স্ত্রী তিশাকে বলছিল, মুশতাকের কাছ থেকে না এলে তোমার জীবনটা ধ্বংস হয়ে যাবে? জবাবে তিশা বলেন, আম্মু আমার অনেক অশ্লীল ছবি ওর (মুশতাক) কাছে আছে। ছবিগুলো দিলে লাথি দিয়ে চলে আসতাম। তিনি আরো বলেন, পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতা বিলুপ্ত হওয়ার পর কোন বাবা মা যেমন ঘৃণাভরে কোন ছেলের নাম রাখে নাই মির্জাফর ঠিক তেমনি ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর কোন বাবা মা ঘৃণাভরে কোন ছেলের নাম রাখবে না খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ৭৫ এর খন্দকার মুশতাক আহমেদ বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর যেমন বাঙ্গালি জাতিকে এতিম বানিয়েছিল ঠিক তেমনি আজকের খন্দকার মুশতাক আহমেদ জাতির কন্যাদেরকে ব্ল্যাকমেইল, অপহরণ, ধর্ষণ ও ভবিষ্যতের স্বপ্নকে খুন করে যেন সেই খুনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে। মুশতাক কর্তৃক তিশার ব্ল্যাকমেইল,অপহরণ, ধর্ষণ কুখ্যাত খন্দকার মুশতাক আহমেদের ধারাবাহিক কু-কর্মের খন্ডচিত্র মাত্র। তিনি বলেন প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আমার স্বপ্ন ছিল অনেক সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে খন্দকার মুস্তাক। আমাকে গভীর রাতে বিভিন্ন লোক দ্বারা ফোন দিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে যাতে আমি থেমে যাই এমনকি যারা আমার পক্ষে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলছেন তাদেরকেও হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাচ্ছেন। আপনারা আমার পাশে থাকবেন আপনারা পাশে থাকলে আমি সাহস পাই পুরো দেশবাসীর আমি সহযোগিতা সহমর্মিতা কামনা করি।

সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের অসম বয়সি বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। ঢাকার একুশে বইমেলায় গিয়েও হেনস্তার শিকার হন এ দম্পতি।

১৮ বছরের তিশা বিয়ে করেছেন ৬০ বছরের খন্দকার মুশতাককে। এখনো এ বিয়েকে মেনে নেয়নি তিশার পরিবার। শুধু তাই নয়, এ বিয়েকাণ্ড আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এখনো বিষয়টি বিচারাধীন।

ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিশা এবং খন্দকার মুশতাক ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ছিলেন।