০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

রাবি শিক্ষার্থী হিমেলের মরদেহ নাটোরে দাফন

প্রতিনিধির নাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেলের মরদেহ নাটোরে তার নানার বাড়িতে আনা হয়েছে। এসময় হিমেলের মা-খালা, নানা-নানি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু ও সহপাঠিরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বুধবার(২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিআপ ভ্যানে লাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় বাস ভতি গাড়িবহর নিয়ে হিমেলের মরদেহ নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্রি (নানা বাড়ির পার্শ্বে) নববিধান উচ্চ বিদ্যালয়ে চত্ত্বরে রাখা হয়। এসময় হিমেলের কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জানান নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ কফিনে শ্রদ্ধা। এসময় ফুলে ফুলে হিমেলের কফিন ভরে যায়। হিমেলের মরদেহের সঙ্গে রাবির ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, প্রোভিসিসহ শিক্ষক এবং তার সহপাঠিরা আসেন। এসময় রাবি ভিসি নিহত হিমেলের মাকে পাঁচলক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।
বুধবার দুপুর ২টা বাদ যোহর নাটোর পুরতান বাস টার্মিনাল পৌর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজের জানাযা শেষে তাকে গাড়ীখানা গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত মাহবুব হাবিব হিমেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও নাটোর নবাব সিরাজ দৌলা সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করে। ছোটবেলা থেকেই নাটোরের কাপুড়িপট্রিস্থ নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন হিমেল।
জানা যায়, মঙ্গলবার(১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাড়ে ৮ টার দিকে ক্যাম্পাসের হাবীবুর হলের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাক চাপায় তিনি নিহত হন। এসময় দুর্ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ৫/৬ টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও তারা ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এদিকে তার মৃত্যুর খবর নাটোরে পৌঁছালে তার নানার বাড়ি নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় শোকের মাতম করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিমেল মোটর সাইকেল যোগে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল। হবীবুর হলের সামনে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ট্রাকের নিচে পড়ে যান হিমেল। এ সময় তিনি  ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ওই ট্রাক আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পর শিক্ষার্থীরা ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাংচুর চালায়। এই দুর্ঘটনা আরও দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:০৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৬৯ বার পড়া হয়েছে

রাবি শিক্ষার্থী হিমেলের মরদেহ নাটোরে দাফন

আপডেট : ০৭:০৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুব হাবিব হিমেলের মরদেহ নাটোরে তার নানার বাড়িতে আনা হয়েছে। এসময় হিমেলের মা-খালা, নানা-নানি আত্মীয়-স্বজন বন্ধু ও সহপাঠিরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বুধবার(২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিআপ ভ্যানে লাশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় বাস ভতি গাড়িবহর নিয়ে হিমেলের মরদেহ নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্রি (নানা বাড়ির পার্শ্বে) নববিধান উচ্চ বিদ্যালয়ে চত্ত্বরে রাখা হয়। এসময় হিমেলের কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জানান নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ কফিনে শ্রদ্ধা। এসময় ফুলে ফুলে হিমেলের কফিন ভরে যায়। হিমেলের মরদেহের সঙ্গে রাবির ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, প্রোভিসিসহ শিক্ষক এবং তার সহপাঠিরা আসেন। এসময় রাবি ভিসি নিহত হিমেলের মাকে পাঁচলক্ষ টাকার চেক তুলে দেন।
বুধবার দুপুর ২টা বাদ যোহর নাটোর পুরতান বাস টার্মিনাল পৌর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে নামাজের জানাযা শেষে তাকে গাড়ীখানা গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত মাহবুব হাবিব হিমেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও নাটোর নবাব সিরাজ দৌলা সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করে। ছোটবেলা থেকেই নাটোরের কাপুড়িপট্রিস্থ নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন হিমেল।
জানা যায়, মঙ্গলবার(১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাড়ে ৮ টার দিকে ক্যাম্পাসের হাবীবুর হলের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাক চাপায় তিনি নিহত হন। এসময় দুর্ঘটনায় খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ৫/৬ টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও তারা ক্যাম্পাসে ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এদিকে তার মৃত্যুর খবর নাটোরে পৌঁছালে তার নানার বাড়ি নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় শোকের মাতম করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিমেল মোটর সাইকেল যোগে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল। হবীবুর হলের সামনে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ট্রাকের নিচে পড়ে যান হিমেল। এ সময় তিনি  ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ওই ট্রাক আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পর শিক্ষার্থীরা ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাংচুর চালায়। এই দুর্ঘটনা আরও দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।