১২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংকের ৪র্থ বর্ষে পদার্পন
মো : আমিরুল ইসলাম বাবু, খুলনা
প্রাণঘাতি রোগ মহামারী করোনা সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশে ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। করোনার ভয়ংকার থাবা থেকে মানুষকে বাচাতে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে সব সরকারি বে সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।এবং মানুষের চলাচলে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করে সরকার। পরবর্তীতে পরিস্থিতি এতোটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, যেএকটা সময় মা, সন্তাননের কাছে যেত না, স্বামী স্ত্রীকে দেখে না, স্ত্রী স্বামীকে ফেলে পালিয়ে যায় , পিতা~মাতার মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যাই সন্তান।সবাই শুধু নিজেকে সেভ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঠিক সেই চরম দুঃসময়ে দেশের ক্রান্তি লগ্নে খুলনার যুবসমাজের আইকন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর শেখ সোহেলের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মাদ রায়হান ফরিদ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নিজের জীবন বাজি রেখে নেমে পড়েন খুলনায় করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবা দিতে। ২০২০ সালের ২১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংক । তার পরে চালু হয় সেখ জুয়েল এম্বুলেন্স সার্ভিস,সম্পূর্ণ ফ্রি এই দুটো সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে চৌধুরী মোহাম্মাদ রায়হান ফরিদের তত্বাবধানে ও যুবরাজ শেখ সোহেল ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় দিন রাত কাজ করেছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা। যখন করোনার ভয়ে নিজের জীবন বাচাতে পরম আপনজনকে ফেলে চলে যাচ্ছে মানুষ, ঠিক তখনই মাত্র একটি কলে সম্পূর্ণ বিনা খরচে তার বাড়িতে অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে পৌছে যেতো শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংকের কর্মীরা। একটা ফোনকলে হুইসেল বাজিয়ে বাড়ির সামনে পৌছে যেতো সেখ জুয়েল ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিসের এম্বুলেন্সটি। মানুষের মনে ফিরে এলো স্বস্তি , যেখানে বিশ্বের বহুদেশে এমনকি বাংলাদেশের ও অন্যান্য শহরে অক্সিজেন শংকটে মানুষ ধুকে ধুকে মরছে। পিতার চোখের সামনে শ্বাসকষ্টে ছটফট করছে সন্তান কিন্ত কিছুই করার ছিলনা অসহায় পিতার। সেই সময় খুলনার একটি মানুষ ও মরে নাই এমনকি অক্সিজেন সংকটেও ছিলনা খুলনার কোন মানুষ। কেউ ছটফট করেনি প্রিয়জনের চোখের সামনে শ্বাসকষ্টে।
দিন আনা দিন খাওয়া দিন মুজুরদের কথা চিন্তা করে দক্ষিণ বঙ্গের আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি খুলনা~ ২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এবং বাড়ি বাড়ি পৌছেদেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শেখ সোহেলউদ্দিন প্রতিবেদক কে বলেন, করোনা কালীন সময়ে খুলনার মানুষ যেন চিকিৎসা সেবার জন্য কষ্ট না পান অক্সিজেন সংকটে কোন মানুষ যেন ধুখে দুখে না মরে এমন চিন্তা ভাবনা থেকে আমরা অক্সিজেন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত অক্সিজেন ব্যাংকের প্রধান সমন্বয়ক চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে করোনা আক্রান্ত ও বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে আসছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি এ ধরনের বড় মহামারী বিপদ যেন আর আমাদের মাঝে না আসে।
তারপরেও খুলনার মানুষের যেকোনো ধরনের সমস্যা ও বিপদে পাশে থাকতে আমরা সর্বদা প্রস্তুতি রয়েছি । আমাদের শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংকের অক্সিজেন সহ যাবতীয় সেবা এখনো চলমান রয়েছে করোনা নয় অন্য যেকোনো বিপদেও শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবে। বর্তমান ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ও মানুষকে যেভাবে সাহায্য সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা সেগুলো করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি । আমাদের টিমের সদস্যরাও সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। করোনাকালে অক্সিজেন ব্যাংকের ভূমিকা ছিল বেশ প্রশংসনীয়। সাবেক ছাত্রনেতা ও খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মাদ রায়হান ফরিদ বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যানে। করোনাকালীন সময়ে দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের জীবন বাচাতে কাজ করেছি। আমাদের টিমের সকল সদস্য ও কর্মকর্তাগণ জীবন বাজি রেখে সেই সময়ে দিনরাত কাজ করেছে, যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গেলো শীতে ও ঈদে অক্সিজেন ব্যাংকের পক্ষ থেকে খুলনা সদর আসনের মাননীয় এমপি শেখ জুয়েল ভাইয়ে উপস্থিতিতে আমরা অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছি।
অন্যদিকে এবারের ঈদেও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ভাইয়ের উপস্থিতিতে আমরা অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছি। তিনি আরও বলেন আমাদের অভিভাবক শেখ সোহেল ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় ডেঙ্গু রোগীদের সেবায় কাজ করার জন্য প্রস্তুুত গ্রহণ করছি।আমাদের টিমের সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য শুভকামনা । নগরীর ৩ নং কাশেম সড়কের বাসিন্দা আসমা সুলতানা বলেন আমার স্বামী করোনা আক্রান্ত হলে ফোন করার সাথেই সেখ জুয়েল এম্বুলেন্স সাভিংসের এম্বুলেন্স চলে আসে আমাদেরে বাসার সামনে। চিকিৎসার জন্য দু তিনবার আমার স্বামীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা নেওয়া করলে ও আমাদের কোন টাকা লাগেনি।
এবং করোনা শনাক্ত হওয়ার পরে যখন বাসায় রেখে চিকিৎসা করতে থাকি তখন অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে আমি চৌধুরী রায়হান ফরিদ ভাইয়ের নাম্বারে ফোন করলে ৩০/৪০ মিনিট পরেই আমার বাসার সামনে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে চলে আসেন শেখ সোহেল অক্সিজেন ব্যাংকের কর্মীরা।
শেখ সোহেল ভাইয়ের এমন মহৎ উদ্যোগ নেওয়ায় এবং খুলনার অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বেচে থাকুক শেখ পরিবারের ভাইদের এমন মানবিকতা, ফরিদ ভাইসহ তার টিমের সকল কর্মীদের এমন উদরতা।
ট্যাগস :