০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

শীতের আকাশে বৃষ্টি ভেজা অন্ধকার রাত

প্রতিনিধির নাম

ঘড়িতে তখন সকাল ৯টা বাজে। এখন শীতকাল! কুয়াশা বিছিন্ন শীতের আকাশে যখন রোদের খোঁজে সাধারণ মানুষ ঠিক তখনই রোদের বিপরীতে আকাশে বৃষ্টির ফোটা। এভাবেই টিপ টিপ বৃষ্টিতে সারাদিন কেটে গিয়েছিল ব্যস্ত শহরের মাঝে ব্যস্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে। কখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছিল বুঝতে পারিনি। ব্যস্ততা শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখন বাড়ি ফেরার কথা ভাবছি তখন আকাশে আাবারও মেঘ সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও পড়ছিল। একটু দেরি করার পর রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। সাথে ছিল একটা বাই সাইকেল আর হাতে ছিল একটি ছাতা। কিছুটা পথ আসার পর বৃষ্টি আরও জোরে নামতে শুরু করে। তারপরও শহরের বাতিময় রাস্তায় চলতে কোন সমস্যা হয়নি। আমার সাধারণত গ্রামেই বসবাস। তাই শহর শেষে গ্রামের পথে রওনা দেওয়ার  সাথে সাথে অন্ধকার  হয়ে আসে রাস্তার চারপাশে । অন্ধকার পথে একহাতে সাইকেল আর একহাতে ছাতা সহ বাটন মোবাইলে জ্বালানো নিভূ নিভূ বাতি নিয়ে বৃষ্টিতে চলছিলাম পথে একা। মনে অনেক ভয় নিয়ে আল্লাহকে স্বরন করে সাহসীর মত এগিয়ে চলতে চলতে একটা সময় বাড়ীর দরজায় এসে পৌছে যাই। দিনশেষে যখন দিনলিপি লিখতে বসছি ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছে। রাজ্যের ঘুম যেন চোখে এসে ভিড় করছে। আমার কাছে অন্য একটি রাতের চেয়ে শীতের মেঘময় মেঘময় আকাশে বৃষ্টিতে ভেজা অন্ধকার রাতটি ছিল ভিন্ন রকম এবং স্বরনীয়।

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

শীতের আকাশে বৃষ্টি ভেজা অন্ধকার রাত

আপডেট : ১২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

ঘড়িতে তখন সকাল ৯টা বাজে। এখন শীতকাল! কুয়াশা বিছিন্ন শীতের আকাশে যখন রোদের খোঁজে সাধারণ মানুষ ঠিক তখনই রোদের বিপরীতে আকাশে বৃষ্টির ফোটা। এভাবেই টিপ টিপ বৃষ্টিতে সারাদিন কেটে গিয়েছিল ব্যস্ত শহরের মাঝে ব্যস্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে। কখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছিল বুঝতে পারিনি। ব্যস্ততা শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখন বাড়ি ফেরার কথা ভাবছি তখন আকাশে আাবারও মেঘ সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও পড়ছিল। একটু দেরি করার পর রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। সাথে ছিল একটা বাই সাইকেল আর হাতে ছিল একটি ছাতা। কিছুটা পথ আসার পর বৃষ্টি আরও জোরে নামতে শুরু করে। তারপরও শহরের বাতিময় রাস্তায় চলতে কোন সমস্যা হয়নি। আমার সাধারণত গ্রামেই বসবাস। তাই শহর শেষে গ্রামের পথে রওনা দেওয়ার  সাথে সাথে অন্ধকার  হয়ে আসে রাস্তার চারপাশে । অন্ধকার পথে একহাতে সাইকেল আর একহাতে ছাতা সহ বাটন মোবাইলে জ্বালানো নিভূ নিভূ বাতি নিয়ে বৃষ্টিতে চলছিলাম পথে একা। মনে অনেক ভয় নিয়ে আল্লাহকে স্বরন করে সাহসীর মত এগিয়ে চলতে চলতে একটা সময় বাড়ীর দরজায় এসে পৌছে যাই। দিনশেষে যখন দিনলিপি লিখতে বসছি ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছে। রাজ্যের ঘুম যেন চোখে এসে ভিড় করছে। আমার কাছে অন্য একটি রাতের চেয়ে শীতের মেঘময় মেঘময় আকাশে বৃষ্টিতে ভেজা অন্ধকার রাতটি ছিল ভিন্ন রকম এবং স্বরনীয়।