০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

একজন আলোকিত মানুষের গল্প

প্রতিনিধির নাম
আলোকিত ব্যাক্তি, উদার মনমানসিকতা সম্পন্ন মানুষের গল্প বলতে লজ্জা কিসের। অজানাকে জানতে হলে পড়তেই হবে। মো: ইউসুফ আলী এক সফল আলোকিত ব্যাক্তি। এমন মানুষই আগামীর বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে পারে দেশে কিংবা সমাজে। মানবিক মূল্যবোধ তার মাঝেই লুকিয়ে আছে। কেননা এসব কথা……
মো: ইউসুফ আলী বাংলাদেশের ভিন্ন একটি জেলার মানুষ। চিকিৎসক হিসেবে ঈদগাঁওতে এসেছেন দীর্ঘসময় ধরে। সকলের সাথে নিবিড় একটা সম্পর্ক তাঁর। আবার অনেকেই তাকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতও পোষন করে। ভাল কাজ করলেই নিন্দুকেরা নিন্দা ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। যে ব্যাক্তি আলোকিত মানুষদেরকে সম্মান করতে শিখবেনা, সেই সমাজে কখনোই আলোকিত মানুষ জন্ম নিবেনা।
ঈদগাঁও মডেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে অসহায়,হতদরিদ্র,গরীব পরিবারের লোকজনদেরকে বিনা অর্থে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এমনকি তিনি দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে অসহায় ও গরীব ডায়বেটিস রোগীদেরকে ফ্রিতে চিকিৎসা ও ওষুদ দিয়ে যাচ্ছেন। চাইলে এখানকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজ জন্ম স্থানে অসহায় লোকজনের পাশে অবস্থান নিতে পারতো। সেটাতো করেন নি। এখানকার মানুষ কে ভালবাসে বলেই।
বিগত বছরে করোনার মত দু:সময়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও থামিয়ে রাখেননি মানবসেবাসহ ঈদগাঁওর বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামগঞ্জে অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে। এমনকি হিন্দু আর মুসলিম ভেদাভেদ না রেখে সবাই মানুষ সে হিসেবে বিভিন্ন গ্রামের অসহায় নারী পুরুষের মাঝে চাল,ডাল, তেল,পেয়াজসহ হরেক রকমের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছিলেন অসংখ্য পরিবারের মাঝে। সেই সাথে মাস্ক, সাবান ও হাত ধৌত করার উপকরন ফ্রিতে বিতরন করে চমক সৃষ্টি করেছিলেন চিকিৎসক। করোনার সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং আলেম ওলামাদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে নজির স্থাপন করে ছিলেন তিনিই ডা: মো: ইউসুফ আলী।
তাঁর পরিচালনাধীন ঈদগাঁও বাজারে ইক্বরা তাহসীনুল কোরআন মাদ্রাসায় একঝাঁক শিশু ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছেন দূবার গতিতে। এমনকি তিনি পাহাড়ী এলাকায় আদর্শ একাডেমী প্রতিষ্টা করে ভিন্ন ভিন্ন নৃ-গোষ্টির মাঝে শিক্ষাদান দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বহু মসজিদ,মাদ্রাসাসহ ভাল কাজে সহ যোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
ভিন্ন ধর্মের মানুষ যখন ইসলামের সৌন্দয্যে আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহন করে তখন পারিবারিক ও সামাজিক নির্যাতনের শিকার হয়। মুসলিম সমাজেও তাদের পূর্ণবাসনের কোন সু-সংগঠিত ব্যবস্থাপনা না থাকায় তারা মারাত্বক অসহায় অবস্থায় পতিত হয়। এসমস্ত অসহায় মানুষের দিকে তিনি হাত বাড়াতে কাপর্ণ্য করেননা বিন্দু মাত্রও।
বর্তমান সমাজে আলোকিত এ মানুষের কাজ কর্মকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখে। তাকে নিয়ে কতইনা কথা বার্তা। ভাল কাজের স্বীকৃত নেই বরং উল্টো ভিন্নমত। অন্তর পরিস্কার করে তিনি মহৎ কাজকর্ম এগুচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
ট্যাগস :
আপডেট : ০১:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
৪৩৮ বার পড়া হয়েছে

একজন আলোকিত মানুষের গল্প

আপডেট : ০১:৩৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
আলোকিত ব্যাক্তি, উদার মনমানসিকতা সম্পন্ন মানুষের গল্প বলতে লজ্জা কিসের। অজানাকে জানতে হলে পড়তেই হবে। মো: ইউসুফ আলী এক সফল আলোকিত ব্যাক্তি। এমন মানুষই আগামীর বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে পারে দেশে কিংবা সমাজে। মানবিক মূল্যবোধ তার মাঝেই লুকিয়ে আছে। কেননা এসব কথা……
মো: ইউসুফ আলী বাংলাদেশের ভিন্ন একটি জেলার মানুষ। চিকিৎসক হিসেবে ঈদগাঁওতে এসেছেন দীর্ঘসময় ধরে। সকলের সাথে নিবিড় একটা সম্পর্ক তাঁর। আবার অনেকেই তাকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতও পোষন করে। ভাল কাজ করলেই নিন্দুকেরা নিন্দা ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। যে ব্যাক্তি আলোকিত মানুষদেরকে সম্মান করতে শিখবেনা, সেই সমাজে কখনোই আলোকিত মানুষ জন্ম নিবেনা।
ঈদগাঁও মডেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিস কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে অসহায়,হতদরিদ্র,গরীব পরিবারের লোকজনদেরকে বিনা অর্থে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। এমনকি তিনি দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে অসহায় ও গরীব ডায়বেটিস রোগীদেরকে ফ্রিতে চিকিৎসা ও ওষুদ দিয়ে যাচ্ছেন। চাইলে এখানকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজ জন্ম স্থানে অসহায় লোকজনের পাশে অবস্থান নিতে পারতো। সেটাতো করেন নি। এখানকার মানুষ কে ভালবাসে বলেই।
বিগত বছরে করোনার মত দু:সময়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও থামিয়ে রাখেননি মানবসেবাসহ ঈদগাঁওর বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামগঞ্জে অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে। এমনকি হিন্দু আর মুসলিম ভেদাভেদ না রেখে সবাই মানুষ সে হিসেবে বিভিন্ন গ্রামের অসহায় নারী পুরুষের মাঝে চাল,ডাল, তেল,পেয়াজসহ হরেক রকমের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরন করেছিলেন অসংখ্য পরিবারের মাঝে। সেই সাথে মাস্ক, সাবান ও হাত ধৌত করার উপকরন ফ্রিতে বিতরন করে চমক সৃষ্টি করেছিলেন চিকিৎসক। করোনার সময়ে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং আলেম ওলামাদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে নজির স্থাপন করে ছিলেন তিনিই ডা: মো: ইউসুফ আলী।
তাঁর পরিচালনাধীন ঈদগাঁও বাজারে ইক্বরা তাহসীনুল কোরআন মাদ্রাসায় একঝাঁক শিশু ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছেন দূবার গতিতে। এমনকি তিনি পাহাড়ী এলাকায় আদর্শ একাডেমী প্রতিষ্টা করে ভিন্ন ভিন্ন নৃ-গোষ্টির মাঝে শিক্ষাদান দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বহু মসজিদ,মাদ্রাসাসহ ভাল কাজে সহ যোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
ভিন্ন ধর্মের মানুষ যখন ইসলামের সৌন্দয্যে আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহন করে তখন পারিবারিক ও সামাজিক নির্যাতনের শিকার হয়। মুসলিম সমাজেও তাদের পূর্ণবাসনের কোন সু-সংগঠিত ব্যবস্থাপনা না থাকায় তারা মারাত্বক অসহায় অবস্থায় পতিত হয়। এসমস্ত অসহায় মানুষের দিকে তিনি হাত বাড়াতে কাপর্ণ্য করেননা বিন্দু মাত্রও।
বর্তমান সমাজে আলোকিত এ মানুষের কাজ কর্মকে অনেকে বাঁকা চোখে দেখে। তাকে নিয়ে কতইনা কথা বার্তা। ভাল কাজের স্বীকৃত নেই বরং উল্টো ভিন্নমত। অন্তর পরিস্কার করে তিনি মহৎ কাজকর্ম এগুচ্ছেন প্রতিনিয়ত।