১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আমাকে চেনো আমি এস আই সেলিম

প্রতিনিধির নাম
ঢাকা দক্ষিণ: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই সেলিম যেন এক আতঙ্কের নাম। ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও সরাসরি মাদক বেচা-কেনার সাথে জড়িত মাদক রানা এস আই সেলিমের ইনফরমার হওয়ায়, মাদক রানার দাপটে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সারারাত বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক রানার ইয়াবা বিক্রি যেন এখন মামুলি বিষয়। সম্প্রতি- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা প্রেস ক্লাবের নিচে মাদক রানা প্রায়শই মাদক বিক্রি করে থাকেন,এমন সংবাদ জানতে পারলে প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি মাদক রানাকে সাবধান করে এমন দুঃসাহস ফের অত্র এলাকায় ও প্রেস ক্লাবের নিচে করলে বিষয়টি থানায় অবগত করবেন বলাতেই ক্ষিপ্ত মাদক রানা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির উপর চড়াও হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, এবং বারবার বলতে থাকে থানায় কারে ফোন দিবি দে, তোরে অর্থাৎ প্রেসক্লাবের সেক্রেটারিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে, তাৎক্ষণিক ঘটনাটি প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোন থেকে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করলে খুব দ্রুত থানার একটি টিম প্রেসক্লাবের নিচে আসে, তখনও মাদক রানা নির্দ্বিধায় ডিউটিতে থাকা এস আই চন্দনের সামনেই আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে, কারণ মাদক রানা যে তাদেরই থানার এস আই সেলিমের ইনফরমার।
এমন অবস্থায় ডিউটিরত একজন অফিসারের সামনে প্রেসক্লাবের সেক্রেটারিকে হুমকি প্রদানকারী মাদক রানাকে এলাকার লোকজন গাড়িতে তুলতে বললে এতে কোন কর্ণপাত করেননা এস আই চন্দন। বরং উকিলী জেরায় ব্যস্ত রাখেন প্রেসক্লাবের সেক্রেটারিকে। এমন সুযোগ পেয়ে মাদক কারবারি মাদক রানার আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারই শেল্টারদাতা এসআই সেলিম ডিউটিতে না থাকা সত্ত্বেও মাদক রানার ফোন পেয়ে বিদ্যুতের গতিতে ছুটে আসেন, এসেই কিছু জানতে না চেয়ে এবং এলাকার কোন লোকের কথা না শুনেই পাশে থাকা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির বড় ছেলেকে কলার ধরে টানতে টানতে গাড়িতে উঠান এবং তার মুখ থেকে একটাই শব্দ শোনা যাচ্ছিল আমি এসআই সেলিম, আমাকে চেনো চল তোর অবস্থা কি করি, যেমন কথা তেমনি কাজ, মাদক রানা ডিউটিতে না থাকা এস আই সেলিমের কানে কানে কথা বলার সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে এসআই সেলিম। এবং বেদর প্রহর করে এবং বলতে থাকে ১০টা মামলা দেবো শুয়োরের বাচ্চা, আরো অনেক বাজে ব্যবহার, একপর্যায়ে তার প্রহারে ছেলেটি অচেতন হয়ে পড়লেও যেন কোন কিছুতেই এতটুকু মায়া হলোনা তার পাষণ্ড হৃদয়ে। থানার ভিতরেও তার উপর নির্মম প্রহার করেন এস আই সেলিম। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাম কানে কিছুই শুনছেন না ছেলেটি, থানার ভিতরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি প্রেসক্লাবের সভাপতি সেক্রেটারিসহ অফিসার ইনচার্জ এর নজরে আনলে ঘটনাটি তাৎক্ষণিক মীমাংসা করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় অফিসার ইনচার্জ এর কথা যেন তার কাছে খুবই নগণ্য তার আচরণে বিষয়টি প্রকাশ পায়, এবং বিষয়টি মাদক রানার পক্ষ নিয়ে অন্যদিকে প্রবাহিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। এবং অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশকে কৌশলগতভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন।একদিকে এলাকার গণমান্য ব্যক্তি যারা ছিলেন তাদের সবাইকে বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাসে রেখে মাদক রানাকে ফুঁসলে আরও উত্তেজিত করেন এস আই সেলিম। অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি রাত আনুমানিক ১১টার সময় মীমাংসা করার নির্দেশ দিলেও মাদক রানার পক্ষ নিয়ে এস আই সেলিম তালবাহানা করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে এলাকার লোকের প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত রাত ২টার সময় আপস মীমাংসা করতে বাধ্য হয় এস আই সেলিম। এস আই সেলিমের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সরে এসে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ এলাকার সুশীল সমাজ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় নাম না বলার শর্তে আমাদেরকে এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, এই এলাকার মাদক কারবারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মের শেল্টারদাতা হিসেবে এস আই সেলিমের নাম এখন সবার মুখে মুখে, সংশ্লিষ্ট থানার একজন এস আই সেলিমের মাদক কারবারিদের সাথে এমন সখ্যতা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। এই বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিস্তারিত পরবর্তী প্রতিবেদনে–
ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
৮২ বার পড়া হয়েছে

আমাকে চেনো আমি এস আই সেলিম

আপডেট : ০৪:০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
ঢাকা দক্ষিণ: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এস আই সেলিম যেন এক আতঙ্কের নাম। ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও সরাসরি মাদক বেচা-কেনার সাথে জড়িত মাদক রানা এস আই সেলিমের ইনফরমার হওয়ায়, মাদক রানার দাপটে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। সারারাত বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক রানার ইয়াবা বিক্রি যেন এখন মামুলি বিষয়। সম্প্রতি- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা প্রেস ক্লাবের নিচে মাদক রানা প্রায়শই মাদক বিক্রি করে থাকেন,এমন সংবাদ জানতে পারলে প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি মাদক রানাকে সাবধান করে এমন দুঃসাহস ফের অত্র এলাকায় ও প্রেস ক্লাবের নিচে করলে বিষয়টি থানায় অবগত করবেন বলাতেই ক্ষিপ্ত মাদক রানা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির উপর চড়াও হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, এবং বারবার বলতে থাকে থানায় কারে ফোন দিবি দে, তোরে অর্থাৎ প্রেসক্লাবের সেক্রেটারিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে, তাৎক্ষণিক ঘটনাটি প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোন থেকে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করলে খুব দ্রুত থানার একটি টিম প্রেসক্লাবের নিচে আসে, তখনও মাদক রানা নির্দ্বিধায় ডিউটিতে থাকা এস আই চন্দনের সামনেই আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে, কারণ মাদক রানা যে তাদেরই থানার এস আই সেলিমের ইনফরমার।
এমন অবস্থায় ডিউটিরত একজন অফিসারের সামনে প্রেসক্লাবের সেক্রেটারিকে হুমকি প্রদানকারী মাদক রানাকে এলাকার লোকজন গাড়িতে তুলতে বললে এতে কোন কর্ণপাত করেননা এস আই চন্দন। বরং উকিলী জেরায় ব্যস্ত রাখেন প্রেসক্লাবের সেক্রেটারিকে। এমন সুযোগ পেয়ে মাদক কারবারি মাদক রানার আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারই শেল্টারদাতা এসআই সেলিম ডিউটিতে না থাকা সত্ত্বেও মাদক রানার ফোন পেয়ে বিদ্যুতের গতিতে ছুটে আসেন, এসেই কিছু জানতে না চেয়ে এবং এলাকার কোন লোকের কথা না শুনেই পাশে থাকা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির বড় ছেলেকে কলার ধরে টানতে টানতে গাড়িতে উঠান এবং তার মুখ থেকে একটাই শব্দ শোনা যাচ্ছিল আমি এসআই সেলিম, আমাকে চেনো চল তোর অবস্থা কি করি, যেমন কথা তেমনি কাজ, মাদক রানা ডিউটিতে না থাকা এস আই সেলিমের কানে কানে কথা বলার সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে এসআই সেলিম। এবং বেদর প্রহর করে এবং বলতে থাকে ১০টা মামলা দেবো শুয়োরের বাচ্চা, আরো অনেক বাজে ব্যবহার, একপর্যায়ে তার প্রহারে ছেলেটি অচেতন হয়ে পড়লেও যেন কোন কিছুতেই এতটুকু মায়া হলোনা তার পাষণ্ড হৃদয়ে। থানার ভিতরেও তার উপর নির্মম প্রহার করেন এস আই সেলিম। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাম কানে কিছুই শুনছেন না ছেলেটি, থানার ভিতরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি প্রেসক্লাবের সভাপতি সেক্রেটারিসহ অফিসার ইনচার্জ এর নজরে আনলে ঘটনাটি তাৎক্ষণিক মীমাংসা করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় অফিসার ইনচার্জ এর কথা যেন তার কাছে খুবই নগণ্য তার আচরণে বিষয়টি প্রকাশ পায়, এবং বিষয়টি মাদক রানার পক্ষ নিয়ে অন্যদিকে প্রবাহিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। এবং অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশকে কৌশলগতভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন।একদিকে এলাকার গণমান্য ব্যক্তি যারা ছিলেন তাদের সবাইকে বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাসে রেখে মাদক রানাকে ফুঁসলে আরও উত্তেজিত করেন এস আই সেলিম। অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি রাত আনুমানিক ১১টার সময় মীমাংসা করার নির্দেশ দিলেও মাদক রানার পক্ষ নিয়ে এস আই সেলিম তালবাহানা করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে এলাকার লোকের প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত রাত ২টার সময় আপস মীমাংসা করতে বাধ্য হয় এস আই সেলিম। এস আই সেলিমের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সরে এসে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ এলাকার সুশীল সমাজ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় নাম না বলার শর্তে আমাদেরকে এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, এই এলাকার মাদক কারবারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মের শেল্টারদাতা হিসেবে এস আই সেলিমের নাম এখন সবার মুখে মুখে, সংশ্লিষ্ট থানার একজন এস আই সেলিমের মাদক কারবারিদের সাথে এমন সখ্যতা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। এই বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিস্তারিত পরবর্তী প্রতিবেদনে–