০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

উদয়ন বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজে গর্ভনিংবডি না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে জটিলতা ও শিক্ষকদের বেতন বন্ধের আশঙ্কা।

মিলটন খান গোপালগঞ্জ বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়ারা ইউনিয়নের রাহুথর নামক স্থানে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি।

১৯৪১-সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৭১৫ জন শিক্ষার্থী ১২ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী নিয়ে কোনরকম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

নিয়মিত কমিটি না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,২০১৮ সাল পর্যন্ত কমিটি ছিল।
কিন্তু কি কারনে ২০১৯ সালে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় নাই।
সর্বশেষ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এ্যাডহোক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। বর্মনানে গর্ভনিংবডি করার কোন তৎপর নেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের।
গর্ভনিংবডি না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক দয়াময় মৌলিক একই গ্রামের দিলিপ সরকার,মনিমহন মন্ডল, অলোক সরকার,শিক্ষক নিতাই বিশ্বাস, ইন্দ্রজিৎ সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রতিষ্ঠানে কমিটি নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের দাবি, একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে কমিটি বন্ধের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বললে তারা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিস্বাস কেই দায়ী করেন।
এদিকে,কমিটি না থাকায় বিদ্যালয়টির নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়টি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং শিক্ষকদের বেতন-ভাতা যাতে বন্ধ না হয় এজন্য যতদ্রুত সম্ভব গর্ভনিংবডি’র দাবি করেন এলাকাবাসী।

উদয়ন বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিস্বাস জানান, যথারীতি নিয়ম মেনেই দ্রুত কমিটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এর আগে এ্যাডহোক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ আগেই হয়েছে। খুব শীগ্রই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে কমিটি দেওয়া বিষয় অনুরোধ করবো।
কমিটি গঠন করা না হলে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বাতিল ও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগম বলেন ইউএনও মহোদয় সহ সকলের উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে আমরা নতুন কমিটির জন্য আবেদন দেওয়ার কথা বলে আসার পরও এখন পর্যন্ত তিনি কোন আবেদন করেননি। কি কারনে এমনটি করছে আমার বোধগম্য নয়।বিষয়টি আমরা ভেবে দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- গত ১১ নভেম্বর উদয়ন বিদ্যাপিঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ,অভিভাবক বৃন্দ,শিক্ষক বৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শিক্ষার মান বজায় রাখা সহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসকে বলা হয়েছিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে নতুন কমিটির আবেদন দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কি কারনে করেননি আমার জানা নেই।

 

ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
১১৮ বার পড়া হয়েছে

উদয়ন বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজে গর্ভনিংবডি না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে জটিলতা ও শিক্ষকদের বেতন বন্ধের আশঙ্কা।

আপডেট : ০৬:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়ারা ইউনিয়নের রাহুথর নামক স্থানে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি।

১৯৪১-সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৭১৫ জন শিক্ষার্থী ১২ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী নিয়ে কোনরকম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

নিয়মিত কমিটি না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,২০১৮ সাল পর্যন্ত কমিটি ছিল।
কিন্তু কি কারনে ২০১৯ সালে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয় নাই।
সর্বশেষ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এ্যাডহোক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। বর্মনানে গর্ভনিংবডি করার কোন তৎপর নেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসের।
গর্ভনিংবডি না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক দয়াময় মৌলিক একই গ্রামের দিলিপ সরকার,মনিমহন মন্ডল, অলোক সরকার,শিক্ষক নিতাই বিশ্বাস, ইন্দ্রজিৎ সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রতিষ্ঠানে কমিটি নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের দাবি, একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে কমিটি বন্ধের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বললে তারা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিস্বাস কেই দায়ী করেন।
এদিকে,কমিটি না থাকায় বিদ্যালয়টির নিবন্ধন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাছাড়া স্কুলের শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়টি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং শিক্ষকদের বেতন-ভাতা যাতে বন্ধ না হয় এজন্য যতদ্রুত সম্ভব গর্ভনিংবডি’র দাবি করেন এলাকাবাসী।

উদয়ন বিদ্যাপীঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিস্বাস জানান, যথারীতি নিয়ম মেনেই দ্রুত কমিটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এর আগে এ্যাডহোক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মেয়াদ শেষ আগেই হয়েছে। খুব শীগ্রই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে কমিটি দেওয়া বিষয় অনুরোধ করবো।
কমিটি গঠন করা না হলে প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন বাতিল ও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধের আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজা বেগম বলেন ইউএনও মহোদয় সহ সকলের উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে আমরা নতুন কমিটির জন্য আবেদন দেওয়ার কথা বলে আসার পরও এখন পর্যন্ত তিনি কোন আবেদন করেননি। কি কারনে এমনটি করছে আমার বোধগম্য নয়।বিষয়টি আমরা ভেবে দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- গত ১১ নভেম্বর উদয়ন বিদ্যাপিঠ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান বৃন্দ,অভিভাবক বৃন্দ,শিক্ষক বৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে শিক্ষার মান বজায় রাখা সহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাসকে বলা হয়েছিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে নতুন কমিটির আবেদন দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কি কারনে করেননি আমার জানা নেই।