জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জুলিও’ কুরি’ শান্তি পদক ৩০ মে,২০২৩, বিকাল ৩ ঘটিকার সময় এক আলোচনা সভা ক্স পুরস্কার প্রদান ক্স ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুনেসা ইন্দিরা এমপি বক্তব্যে বলেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্হপতি হিসেবে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম আন্তর্জাতিক ভাবে পদক পেয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধুর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতীর জন্য আনন্দ এবং গৌরবের।বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা না বিশ্বের নেতা।ছাত্রজীবন থেকে তিনি নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকতেন।১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের সময় তিনি ছাত্র ছিলেন। তিনি অসহায় মানুষদের পাশে ছিলেন।১৯৪৫ সালে দেশে যখন দাঙ্গা দেখা দিয়েছিল।তখন বঙ্গমাতা অসুস্থ থাকা সত্বেও দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।১৯৪৭ সালে যখন পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান আলাদা হয় তখন মায়ের ভাষা বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।তিনি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কারারুদ্ধ হয়েছিলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর সচিব
মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল বক্তব্যে বলেন আমাদের বিশ্বের সেরা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।রমেশচন্দ্র বলেছিলেন তিনি শুধু বাংলার বন্ধু না তিনি বিশ্বনেতা,বিশ্ববন্ধু।সারাবিশ্বে স্বীকৃতি জুলিও’কুরি পদক এই পদক টাকা দিয়ে অর্জন করা যায় না।বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশবাসীকে পদ্মাসেতু উপহার দিল।বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রমাণ করেছেন পদ্মাসেতু তৈরি করা যায়।আমরা ছোট বেলায় দেখেছি পদ্মা সেতু পার হতে লঞ্চে করে এক ঘন্টা সময় লাগে।এখন সমস্ত শিশুরা বিনামূল্যে স্কুল বই পাচ্ছে।এটাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান।এটা কি ভুল।আমার মেয়ে লেখাপড়ার জন্য দেশের বাইরে থাকে।ভিডিও কল দিয়ে শান্তি আসে ৪এ চালু হয়েছে,একজনের ছবি একজন দেখে।শিশুদের জন্য ও তিনি কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক আনজীর লিটন সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মানিত চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নাট্যজন লাকী ইনাম। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগীতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার বিতরণ ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।