০৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশের জয়ের শেষ সুযোগ

ড. সাঈদুর রহমান

এবারের বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। সেটা ছিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। আজ বাংলাদেশের সামনে এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় তুলে নেবার শেষ সুযোগ। কারণ শ্রীলংকা কাগজে-কলমের হিসেবে এই মুহূর্তে যথেষ্ট দুর্বল দল। তাছাড়া সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের কাছে ৩০২ রানে হেরে তারা মানসিকভাবে অনেকখানি বিধ্বস্ত। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে শ্রীলংকার পাঁচ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এর মধ্যে দুই ওপেনার গোল্ডেন ডাক পেয়েছিলেন। ২৯ রানে শ্রীলংকার ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড দলের কোচ এবং নির্বাচকদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছেন। এরকম একটা অবস্থায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা খুব একটা ভালো থাকার কথা নয়। বাংলাদেশ যদি একটু ভালো ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে না জেতার কোন কারণ নেই। মাহমুদ‌উল্লাহ রিয়াদ মোটামুটি ভালো ব্যাটিং করছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ‌ও ব্যাটে-বলে চেষ্টা করছেন। ভারতের বিরুদ্ধে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ ৯৩ রান করেছিল, আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে করেছিল ৩০ রান। এছাড়া আর বাকি পাঁচটা ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ২০ রানও করতে পারেনি। এছাড়া দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি বাংলাদেশ কোন ম্যাচেই। ফলে মিডিল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা কখনোই স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করতে পারেননি। শ্রীলংকার বোলিং অ্যাটাক আহামরি কিছু নয়, যদিও দিলশান মাদুশাংকা ১৮ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। তাকে একটু দেখেশুনে খেললে, বাকি বোলারদের বিরুদ্ধে রান করা কঠিন হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার বারবার পরিবর্তন করার কারণে একটা ঝামেলা হচ্ছে। ক্রিকেট মূলত জুটির খেলা। অন্তত দুটো ভালো জুটি করতে পারলে একটা ফাইটিং স্কোর দাঁড় করানো সম্ভব। টসে জিতলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করবে। যদি পরে ব্যাট করতে হয় তাহলেও টার্গেট ৩০০ এর নিচে থাকলে চেজ করা সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য, যার অভাব এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে জয়ের জন্য বাংলাদেশের উচিত সর্বশক্তি নিয়োগ করা। কারণ বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল যেহেতু এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়া জয়ের জন্য তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেবে। তাছাড়া সেমিফাইনালের চতুর্থ স্থানের জন্য নেট রানরেট একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হতে পারে। ফলে শ্রীলঙ্কা‌ই হতে পারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার সহজ টার্গেট।

অংকের হিসাবে এখনো হয়তো শ্রীলংকার জন্য সেমিফাইনালের একটা ন্যূনতম সুযোগ রয়েছে, যদি তারা শেষ দুই ম্যাচ জিততে পারে এবং যদি অন্য দলগুলোর রেজাল্ট তাদের সুবিধা মতো হয়। তবে আমার মনে হয়, সেটা নেহাত‌ই অংকের হিসাব। আসলে বাংলাদেশের মতো শ্রীলংকারও সেমিফাইনালের আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়াটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। শ্রীলংকা ইতিমধ্যে এবারের বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতেছে, আর বাংলাদেশ জিতেছে একটি মাত্র ম্যাচ। এবার বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দুটি প্রাকটিস ম্যাচ খেলেছিল গৌহাটিতে। তার একটি ছিল শ্রীলংকার বিরুদ্ধে, যে ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে পরাজিত করেছিল। তবে সর্বশেষ এশিয়া কাপে শ্রীলংকা দুইবার বাংলাদেশকে হারিয়েছে।

বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এ পর্যন্ত ৫৩ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৯ বার এবং শ্রীলংকা জিতেছে ৪২ বার। দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে ওডিআই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা চারবার মুখোমুখি হয়েছে, যার কোনটিতেই বাংলাদেশ জিততে পারেনি। শ্রীলংকা জিতেছে তিনবার এবং একটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে একটি বল‌ও মাঠে গড়ায়নি।

তবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচকে ঘিরে অন্য একটি শঙ্কা কাজ করছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। আর দিল্লিতে এই মুহূর্তে মারাত্মক বায়ু দূষণ বিরাজ করছে।অতিরিক্ত বায়ুদূষণের কারণে দিল্লির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। ইতিমধ্যেই দিল্লির প্রশাসন দুই দিন স্কুল বন্ধ রেখেছিল, শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে।
বায়ুমান নির্ণায়ক সূচক অনুযায়ী দিল্লিতে বায়ুর মান (AQI) ৬০০-৭০০ এর উপরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এত খারাপ বায়ুতে অনেক ধূলিকণা মিশ্রিত থাকে যা শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটায়। এই রকম আবহাওয়া ক্রিকেট খেলাটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দূষণজনিত কারণে যে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া, তা সবারই সমস্যা করবে। কখনও কখনও দীর্ঘসময় লাগে এমন আবহাওয়ার কিছু পরিষ্কার হতে, যার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হতে পারে। তাছাড়া কোন তরফ থেকে যদি আপত্তি উত্থাপিত হয়, তাহলেও ম্যাচ বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে হওয়া টেস্টে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগেছিল। তাই আজকের ম্যাচ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ম্যাচ যদি পরিত্যক্ত হয়, তাহলে সেটা বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। কারণ ইংল্যান্ড যদি তাদের শেষ দুটি ম্যাচের কোন একটিতে জয়লাভ করে, তাহলে বাংলাদেশকে দশম স্থান বা শেষ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে। সেদিন মেনে নেওয়া বাংলাদেশের যে কারো জন্যই কঠিন হবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:০২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের জয়ের শেষ সুযোগ

আপডেট : ০৭:০২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

এবারের বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। সেটা ছিল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। আজ বাংলাদেশের সামনে এবারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় তুলে নেবার শেষ সুযোগ। কারণ শ্রীলংকা কাগজে-কলমের হিসেবে এই মুহূর্তে যথেষ্ট দুর্বল দল। তাছাড়া সর্বশেষ ম্যাচে ভারতের কাছে ৩০২ রানে হেরে তারা মানসিকভাবে অনেকখানি বিধ্বস্ত। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে শ্রীলংকার পাঁচ জন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। এর মধ্যে দুই ওপেনার গোল্ডেন ডাক পেয়েছিলেন। ২৯ রানে শ্রীলংকার ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড দলের কোচ এবং নির্বাচকদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছেন। এরকম একটা অবস্থায় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা খুব একটা ভালো থাকার কথা নয়। বাংলাদেশ যদি একটু ভালো ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে না জেতার কোন কারণ নেই। মাহমুদ‌উল্লাহ রিয়াদ মোটামুটি ভালো ব্যাটিং করছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ‌ও ব্যাটে-বলে চেষ্টা করছেন। ভারতের বিরুদ্ধে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ ৯৩ রান করেছিল, আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে করেছিল ৩০ রান। এছাড়া আর বাকি পাঁচটা ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ২০ রানও করতে পারেনি। এছাড়া দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি বাংলাদেশ কোন ম্যাচেই। ফলে মিডিল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা কখনোই স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করতে পারেননি। শ্রীলংকার বোলিং অ্যাটাক আহামরি কিছু নয়, যদিও দিলশান মাদুশাংকা ১৮ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। তাকে একটু দেখেশুনে খেললে, বাকি বোলারদের বিরুদ্ধে রান করা কঠিন হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার বারবার পরিবর্তন করার কারণে একটা ঝামেলা হচ্ছে। ক্রিকেট মূলত জুটির খেলা। অন্তত দুটো ভালো জুটি করতে পারলে একটা ফাইটিং স্কোর দাঁড় করানো সম্ভব। টসে জিতলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করবে। যদি পরে ব্যাট করতে হয় তাহলেও টার্গেট ৩০০ এর নিচে থাকলে চেজ করা সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য, যার অভাব এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে জয়ের জন্য বাংলাদেশের উচিত সর্বশক্তি নিয়োগ করা। কারণ বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল যেহেতু এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয়, তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়া জয়ের জন্য তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নেবে। তাছাড়া সেমিফাইনালের চতুর্থ স্থানের জন্য নেট রানরেট একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হতে পারে। ফলে শ্রীলঙ্কা‌ই হতে পারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার সহজ টার্গেট।

অংকের হিসাবে এখনো হয়তো শ্রীলংকার জন্য সেমিফাইনালের একটা ন্যূনতম সুযোগ রয়েছে, যদি তারা শেষ দুই ম্যাচ জিততে পারে এবং যদি অন্য দলগুলোর রেজাল্ট তাদের সুবিধা মতো হয়। তবে আমার মনে হয়, সেটা নেহাত‌ই অংকের হিসাব। আসলে বাংলাদেশের মতো শ্রীলংকারও সেমিফাইনালের আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়াটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। শ্রীলংকা ইতিমধ্যে এবারের বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতেছে, আর বাংলাদেশ জিতেছে একটি মাত্র ম্যাচ। এবার বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দুটি প্রাকটিস ম্যাচ খেলেছিল গৌহাটিতে। তার একটি ছিল শ্রীলংকার বিরুদ্ধে, যে ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে পরাজিত করেছিল। তবে সর্বশেষ এশিয়া কাপে শ্রীলংকা দুইবার বাংলাদেশকে হারিয়েছে।

বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এ পর্যন্ত ৫৩ বার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৯ বার এবং শ্রীলংকা জিতেছে ৪২ বার। দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে ওডিআই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা চারবার মুখোমুখি হয়েছে, যার কোনটিতেই বাংলাদেশ জিততে পারেনি। শ্রীলংকা জিতেছে তিনবার এবং একটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে একটি বল‌ও মাঠে গড়ায়নি।

তবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচকে ঘিরে অন্য একটি শঙ্কা কাজ করছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। আর দিল্লিতে এই মুহূর্তে মারাত্মক বায়ু দূষণ বিরাজ করছে।অতিরিক্ত বায়ুদূষণের কারণে দিল্লির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। ইতিমধ্যেই দিল্লির প্রশাসন দুই দিন স্কুল বন্ধ রেখেছিল, শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে।
বায়ুমান নির্ণায়ক সূচক অনুযায়ী দিল্লিতে বায়ুর মান (AQI) ৬০০-৭০০ এর উপরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এত খারাপ বায়ুতে অনেক ধূলিকণা মিশ্রিত থাকে যা শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটায়। এই রকম আবহাওয়া ক্রিকেট খেলাটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দূষণজনিত কারণে যে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া, তা সবারই সমস্যা করবে। কখনও কখনও দীর্ঘসময় লাগে এমন আবহাওয়ার কিছু পরিষ্কার হতে, যার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হতে পারে। তাছাড়া কোন তরফ থেকে যদি আপত্তি উত্থাপিত হয়, তাহলেও ম্যাচ বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর আগে ২০১৭ সালে ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে হওয়া টেস্টে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগেছিল। তাই আজকের ম্যাচ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ম্যাচ যদি পরিত্যক্ত হয়, তাহলে সেটা বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। কারণ ইংল্যান্ড যদি তাদের শেষ দুটি ম্যাচের কোন একটিতে জয়লাভ করে, তাহলে বাংলাদেশকে দশম স্থান বা শেষ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে। সেদিন মেনে নেওয়া বাংলাদেশের যে কারো জন্যই কঠিন হবে।