০৯:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশের দুর্দান্ত ব্যাটিং

ড. সাঈদুর রহমানের

তামজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয় একাদশে আসবেন এ রকমটাই ধারণা করা হয়েছিল। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নাঈম শেখ এবং এনামুল হক বিজয় দুজনেই ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন। ঢাকা আবাহনীর হয়ে একসাথে ইনিংসের সূচনা করে দারুণ সাফল্য‌ও পেয়েছিলেন তারা দু’জন। নাঈম শেখ লিগের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। নাঈম শেখ করেছিলেন ৯৩২ রান এবং এনামুল হক বিজয় করেছিলেন ৮৩৪ রান। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেই দুইজন আবার ইনিংসের গোড়াপত্তন করবেন এইরকমই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট মেহেদী হাসান মিরাজকে ওপেনিংয়ে এনে গ্যাম্বলিং করলেন। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে গ্যাম্বলিং কাজে লেগে গেল। নাঈম শেখের সাথে জুটি বেঁধে মেহেদী হাসান মিরাজ দারুণ একটা সূচনা এনে দিলেন বাংলাদেশের জন্য। উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান নিঃসন্দেহে যথেষ্ট ভাল। মেহেদী মিরাজ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাবার আগে ১১২ রানের যে ইনিংসটা খেলেন সেটা ছিল এক কথায় অসাধারণ। কিন্তু একটা ম্যাচে আপনি একাধিক গ্যাম্বলিং করতে পারেন না! ওয়ান ডাউনে কেন তাওহীদ হৃদয় আসবে, এটা কোনভাবেই বোধগম্য হলো না। নাজমুল হোসেন শান্ত একজন ইন-ফর্ম ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচেও শ্রীলংকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটিং এর ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ছিলেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তাহলে কেন তাকে ৪ নম্বরে নামিয়ে তাওহীদ হৃদয়কে আনা হলো ৩ নম্বরে? যিনি ৬ নম্বরে বা সাত নম্বরে ব্যাট করেন, তার জন্য ৩ নম্বরে বা ৪ নম্বরে ব্যাট করা কঠিন। কারণ ৬,৭ বা ৮ এ যারা ব্যাট করেন তারা একটু পুরনো বলে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। নতুন বলে বা প্রায়-নতুন বলে ব্যাট করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তারপরও বলতে হয় মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯৪ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে গেছেন। দুজন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানকে সেঞ্চুরি করতে দেখাটা খুবই সুখকর। গত ম্যাচে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে যোগ্য সঙ্গী না পাওয়ায় হয়তো নাজমুল হোসেন শান্ত তার শতরান তুলে নিতে পারেননি। এই ম্যাচে নিশ্চয়ই সেঞ্চুরি করে তিনি তার আক্ষেপটা দূর করলেন। আফগানিস্তানের বোলারদের নিয়ে যে ভীতি ছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের, ব্যাটসম্যানরা একটু দেখেশুনে খেলার কারণে আফগানিস্তানের সেই বোলাররা‌ই কিন্তু হয়ে গেলেন সাধারণ মানের বোলার। নাজমুল হোসেন শান্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্লিপ করে পড়ে গিয়ে রান আউট না হলে হয়তো তার ইনিংসটা আরো বড় হতে পারত। স্লগ ওভারে মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ২৫ রানের একটা চমৎকার ক্যামিও উপহার দিলেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা হাকিয়ে দারুণ সাহসের পরিচয় দিলেন। শামীম পাটোয়ারীও রান আউট আগে ৬ বলে ১১ রানের একটা ছোট্ট ইনিংস খেলেন। দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রানের যে ইনিংসটা উপহার দেন, সেটা ছিল দারুণ সময়োপযোগী। সব মিলিয়ে এই রকম একটা ক্রুশিয়াল ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে যে ৩৩৪ রান করতে সক্ষম হন, সে জন্য তাদেরকে অবশ্যই সাধুবাদ দিতে হয়।

আজ পাল্লেকেলেতে ভারত মুখোমুখি হবে নেপালের। এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নিতে এসে পাকিস্তানের কাছে ২৩৮ রানে হেরেছে নেপাল। বিশ্বকাপের শিরোপার জন্য ফাইট করবে, এ রকম একটি দলের সাথে অনভিজ্ঞ নেপালের এই ফলাফল অস্বাভাবিক কিছু নয়। আজকে ভারতের বিরুদ্ধেও নেপালের পরাজয়টা এই রকম বা এর চেয়েও বড় কিছু হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ এক কথায় দুর্ধর্ষ। পাকিস্তানের পেস ব্যাটারি এই মুহূর্তে যে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং এটাক, তাতে কোন সন্দেহ নেই। পাকিস্তানের সেই পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে ৬৬ রানের চার উইকেট হারিয়েও ভারতীয় ব্যাটিং ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ভারতের ব্যাটসম্যানরা জানেন কিভাবে জুটি গড়তে হয় এবং একবার জুটি গড়া হয়ে গেলে, কিভাবে রানের গতি বাড়াতে হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঈশান কিশান এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ১৩৮ রানের জুটি দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে বিপর্যয়ের মুখে তাদের ঘুরে দাঁড়াবার সক্ষমতা রয়েছে। নেপালের দুই ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার করণ খাত্রি ছেত্রী এবং সোমপাল কামি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরুতে ভালো বল করে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু সেই চাপ ধরে রাখতে পারেননি। ভারতের বিরুদ্ধে‌ও তেমনটি হওয়ার আশঙ্কা। তারা হয়তো কিছু সময় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় লাইন এবং লেন্থ ঠিক রেখে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরকে বিশেষ করে রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যানদেরকে বেঁধে রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ভারত যদি আগে ব্যাটিং করে তাহলে ৩৫০ এর কাছাকাছি রান হওয়ার সম্ভবনা বেশি। আর পরে ব্যাট করলে ২-৩ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয়া ভারতের পক্ষে সম্ভব। নেপালের অবশ্য হারাবার কিছু নেই। ভারত পাকিস্তানের মতো দুই পরাশক্তির সাথে তারা রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। তারা আশা করেনি যে, তারা কোন একটা দলকে হারাতে পারবে। তবে এই দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই তাদেরকে অনেকখানি সমৃদ্ধ করবে এবং আগামীতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা হয়তো কোন বড় ম্যাচ জয়ের দিকে এগিয়ে যাবে।

নেপাল দলে দুই ভাই আরিফ শেখ এবং আসিফ শেখ এর দুজনেই গত ম্যাচে একাদশে ছিলেন। আরিফ শেখ একজন ভালো অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ডান হাতে তিনি মিডিয়াম পেস বল করে থাকেন। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেপাল দলের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল তাকে বল করতে ডাকেননি। অন্যদিকে আরিফ শেখের ছোট ভাই আসিফ শেখ দলের উইকেট রক্ষক এবং উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে তিনি কতটা কি করতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেপাল মাত্র ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয়েছিল। ভারতের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই তাদের টার্গেট থাকবে আরও বেশি ওভার ব্যাটিং করা এবং স্কোরটাকে আরও বড় করা।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১০৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের দুর্দান্ত ব্যাটিং

আপডেট : ০৭:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয় একাদশে আসবেন এ রকমটাই ধারণা করা হয়েছিল। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নাঈম শেখ এবং এনামুল হক বিজয় দুজনেই ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন। ঢাকা আবাহনীর হয়ে একসাথে ইনিংসের সূচনা করে দারুণ সাফল্য‌ও পেয়েছিলেন তারা দু’জন। নাঈম শেখ লিগের সর্বোচ্চ রান করেছিলেন এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলেন এনামুল হক বিজয়। নাঈম শেখ করেছিলেন ৯৩২ রান এবং এনামুল হক বিজয় করেছিলেন ৮৩৪ রান। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে সেই দুইজন আবার ইনিংসের গোড়াপত্তন করবেন এইরকমই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট মেহেদী হাসান মিরাজকে ওপেনিংয়ে এনে গ্যাম্বলিং করলেন। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে গ্যাম্বলিং কাজে লেগে গেল। নাঈম শেখের সাথে জুটি বেঁধে মেহেদী হাসান মিরাজ দারুণ একটা সূচনা এনে দিলেন বাংলাদেশের জন্য। উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান নিঃসন্দেহে যথেষ্ট ভাল। মেহেদী মিরাজ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাবার আগে ১১২ রানের যে ইনিংসটা খেলেন সেটা ছিল এক কথায় অসাধারণ। কিন্তু একটা ম্যাচে আপনি একাধিক গ্যাম্বলিং করতে পারেন না! ওয়ান ডাউনে কেন তাওহীদ হৃদয় আসবে, এটা কোনভাবেই বোধগম্য হলো না। নাজমুল হোসেন শান্ত একজন ইন-ফর্ম ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচেও শ্রীলংকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটিং এর ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ছিলেন তিনি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তাহলে কেন তাকে ৪ নম্বরে নামিয়ে তাওহীদ হৃদয়কে আনা হলো ৩ নম্বরে? যিনি ৬ নম্বরে বা সাত নম্বরে ব্যাট করেন, তার জন্য ৩ নম্বরে বা ৪ নম্বরে ব্যাট করা কঠিন। কারণ ৬,৭ বা ৮ এ যারা ব্যাট করেন তারা একটু পুরনো বলে ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। নতুন বলে বা প্রায়-নতুন বলে ব্যাট করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। তারপরও বলতে হয় মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯৪ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাদেশকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে গেছেন। দুজন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানকে সেঞ্চুরি করতে দেখাটা খুবই সুখকর। গত ম্যাচে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে যোগ্য সঙ্গী না পাওয়ায় হয়তো নাজমুল হোসেন শান্ত তার শতরান তুলে নিতে পারেননি। এই ম্যাচে নিশ্চয়ই সেঞ্চুরি করে তিনি তার আক্ষেপটা দূর করলেন। আফগানিস্তানের বোলারদের নিয়ে যে ভীতি ছিল বাংলাদেশের সমর্থকদের, ব্যাটসম্যানরা একটু দেখেশুনে খেলার কারণে আফগানিস্তানের সেই বোলাররা‌ই কিন্তু হয়ে গেলেন সাধারণ মানের বোলার। নাজমুল হোসেন শান্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্লিপ করে পড়ে গিয়ে রান আউট না হলে হয়তো তার ইনিংসটা আরো বড় হতে পারত। স্লগ ওভারে মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ২৫ রানের একটা চমৎকার ক্যামিও উপহার দিলেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী অভিষেক ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা হাকিয়ে দারুণ সাহসের পরিচয় দিলেন। শামীম পাটোয়ারীও রান আউট আগে ৬ বলে ১১ রানের একটা ছোট্ট ইনিংস খেলেন। দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রানের যে ইনিংসটা উপহার দেন, সেটা ছিল দারুণ সময়োপযোগী। সব মিলিয়ে এই রকম একটা ক্রুশিয়াল ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে যে ৩৩৪ রান করতে সক্ষম হন, সে জন্য তাদেরকে অবশ্যই সাধুবাদ দিতে হয়।

আজ পাল্লেকেলেতে ভারত মুখোমুখি হবে নেপালের। এশিয়া কাপে প্রথমবার অংশ নিতে এসে পাকিস্তানের কাছে ২৩৮ রানে হেরেছে নেপাল। বিশ্বকাপের শিরোপার জন্য ফাইট করবে, এ রকম একটি দলের সাথে অনভিজ্ঞ নেপালের এই ফলাফল অস্বাভাবিক কিছু নয়। আজকে ভারতের বিরুদ্ধেও নেপালের পরাজয়টা এই রকম বা এর চেয়েও বড় কিছু হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ এক কথায় দুর্ধর্ষ। পাকিস্তানের পেস ব্যাটারি এই মুহূর্তে যে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং এটাক, তাতে কোন সন্দেহ নেই। পাকিস্তানের সেই পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে ৬৬ রানের চার উইকেট হারিয়েও ভারতীয় ব্যাটিং ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। ভারতের ব্যাটসম্যানরা জানেন কিভাবে জুটি গড়তে হয় এবং একবার জুটি গড়া হয়ে গেলে, কিভাবে রানের গতি বাড়াতে হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঈশান কিশান এবং হার্দিক পান্ডিয়ার ১৩৮ রানের জুটি দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে বিপর্যয়ের মুখে তাদের ঘুরে দাঁড়াবার সক্ষমতা রয়েছে। নেপালের দুই ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার করণ খাত্রি ছেত্রী এবং সোমপাল কামি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরুতে ভালো বল করে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু সেই চাপ ধরে রাখতে পারেননি। ভারতের বিরুদ্ধে‌ও তেমনটি হওয়ার আশঙ্কা। তারা হয়তো কিছু সময় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় লাইন এবং লেন্থ ঠিক রেখে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরকে বিশেষ করে রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যানদেরকে বেঁধে রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ভারত যদি আগে ব্যাটিং করে তাহলে ৩৫০ এর কাছাকাছি রান হওয়ার সম্ভবনা বেশি। আর পরে ব্যাট করলে ২-৩ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয়া ভারতের পক্ষে সম্ভব। নেপালের অবশ্য হারাবার কিছু নেই। ভারত পাকিস্তানের মতো দুই পরাশক্তির সাথে তারা রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। তারা আশা করেনি যে, তারা কোন একটা দলকে হারাতে পারবে। তবে এই দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই তাদেরকে অনেকখানি সমৃদ্ধ করবে এবং আগামীতে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা হয়তো কোন বড় ম্যাচ জয়ের দিকে এগিয়ে যাবে।

নেপাল দলে দুই ভাই আরিফ শেখ এবং আসিফ শেখ এর দুজনেই গত ম্যাচে একাদশে ছিলেন। আরিফ শেখ একজন ভালো অলরাউন্ডার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ডান হাতে তিনি মিডিয়াম পেস বল করে থাকেন। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেপাল দলের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল তাকে বল করতে ডাকেননি। অন্যদিকে আরিফ শেখের ছোট ভাই আসিফ শেখ দলের উইকেট রক্ষক এবং উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে তিনি কতটা কি করতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেপাল মাত্র ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানে অলআউট হয়েছিল। ভারতের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই তাদের টার্গেট থাকবে আরও বেশি ওভার ব্যাটিং করা এবং স্কোরটাকে আরও বড় করা।