০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ভোগড়া বাইপাস ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন ১ জন পোশাক শ্রমিক নিহত

প্রতিনিধির নাম
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস কলম্বিয়া সংলগ্ন ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন  দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে বিক্ষোভ শুরু করেছে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা। বিক্ষোপ্ত হয়ে গেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উভয় দিক যান চলাচল বন্ধু হয়। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে সপ্তম দিনের মতো গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা,  নাওজোড়, নলজানী, ও মালেকের বাড়ি এলাকায় কাজ বন্ধ করে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন।
এ সময় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ভবনে ঢিল ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। শ্রমিকদের একটি গ্রুপ গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় অবস্থান করে এবং যানবাহন ভাঙচুর করতে গেলে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে রাসেল নামে এক শ্রমিকের ডান হাতে গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
 আহত ব্যক্তিকে গাজীপুর সদর  হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদর থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে ১৫.৩০ ঘটিকায় নিলে মৃত ঘোষণা দেয়। নিহত রাসেল ঝালকাঠি উপজেলার, খাগ টুটিয়া গ্রামের, হান্নান হাওলাদারের ছেলে,বাসন থানাধীন, মালেকের বাড়ির ভাড়াটিয়া ম্যাচে থাকতেন।
রুমমেট রুবেল আবু সুফিয়ান জানান স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস গার্মেন্টসে ইলেকট্রিশিয়ান রাসেল হাওলাদার কাজ করতো তারা,
 স্থানীয় পাঁচ ছয়টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন সে জন্য গার্মেন্টসের কর্তৃপক্ষ গার্মেন্টসটির ছুটির ঘোষণা করেন। এ-র পর সারে ১১ টার দিকে পায়ে হেঁটে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ-সময় ডান হাতে গুলি খেয়েছিলেন, এদিকে ভোগড়া এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কলম্বিয়া কারখানার শ্রমিকরা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও তাদের কাজের দাম বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়েই বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন শ্রমিক,গরিব ও সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। দেখা’র কেউ নেই, আমাদের সামান্য বেতনে চাকরি করে জীবন যাপন করা যে কষ্ট কর এটা শুধু আমরাই  বুঝি।
 আমাদের দাবী ন্যায্যদাবী একথা আন্দোলনরত একাধিক শ্রমিক বলেন, আমাদের হেলপারের বেতন ৮ হাজার,অপারেটরের ১০ হাজার এবং সুপারভাইজারের বেতন ১১ হাজার টাকা ২০১৮ সাল থেকে। এরপর আর কোনো বেতন বাড়ানো হয়নি। এখন যা দ্রব্যমূল্যের দাম তাতে আমাদের জীবন চলছে না। এক কেজি মুলার দাম ৮০ টাকা, ১ কেজি সিমের দাম ১২০ টাকা। গ্যাসের দাম বেড়েছে, বাসা ভাড়া বেড়েছে। আমাদের বেতন ২৩ হাজার করতে হবে। এটাই আমাদের দাবি। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাব, পুলিশ যতোই আমাদের ওপর আক্রমণ করুক আন্দোলন চলবেই।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, শ্রমিকরা সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করে। সড়কে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার, চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ, সফিপুর, মৌচাক ও জেনারেল, কোনাবাড়ী কলেজ গেইট। যেসব কলকারখানা রয়েছে সেইসব কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছে।
 লেগোস অ্যাপারেলস, এটিএস, বে-ফুটওয়ারসহ ৭/৮ টি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
১৪০ বার পড়া হয়েছে

ভোগড়া বাইপাস ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন ১ জন পোশাক শ্রমিক নিহত

আপডেট : ০২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস কলম্বিয়া সংলগ্ন ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন  দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে বিক্ষোভ শুরু করেছে শিল্প কারখানার শ্রমিকরা। বিক্ষোপ্ত হয়ে গেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ক্ষিপ্ত শ্রমিকরা
এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উভয় দিক যান চলাচল বন্ধু হয়। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে সপ্তম দিনের মতো গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা,  নাওজোড়, নলজানী, ও মালেকের বাড়ি এলাকায় কাজ বন্ধ করে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন।
এ সময় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ভবনে ঢিল ছুড়ে গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। শ্রমিকদের একটি গ্রুপ গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় অবস্থান করে এবং যানবাহন ভাঙচুর করতে গেলে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে রাসেল নামে এক শ্রমিকের ডান হাতে গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
 আহত ব্যক্তিকে গাজীপুর সদর  হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদর থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে ১৫.৩০ ঘটিকায় নিলে মৃত ঘোষণা দেয়। নিহত রাসেল ঝালকাঠি উপজেলার, খাগ টুটিয়া গ্রামের, হান্নান হাওলাদারের ছেলে,বাসন থানাধীন, মালেকের বাড়ির ভাড়াটিয়া ম্যাচে থাকতেন।
রুমমেট রুবেল আবু সুফিয়ান জানান স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস গার্মেন্টসে ইলেকট্রিশিয়ান রাসেল হাওলাদার কাজ করতো তারা,
 স্থানীয় পাঁচ ছয়টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন সে জন্য গার্মেন্টসের কর্তৃপক্ষ গার্মেন্টসটির ছুটির ঘোষণা করেন। এ-র পর সারে ১১ টার দিকে পায়ে হেঁটে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এ-সময় ডান হাতে গুলি খেয়েছিলেন, এদিকে ভোগড়া এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কলম্বিয়া কারখানার শ্রমিকরা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও তাদের কাজের দাম বাড়েনি। তাই বাধ্য হয়েই বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন শ্রমিক,গরিব ও সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। দেখা’র কেউ নেই, আমাদের সামান্য বেতনে চাকরি করে জীবন যাপন করা যে কষ্ট কর এটা শুধু আমরাই  বুঝি।
 আমাদের দাবী ন্যায্যদাবী একথা আন্দোলনরত একাধিক শ্রমিক বলেন, আমাদের হেলপারের বেতন ৮ হাজার,অপারেটরের ১০ হাজার এবং সুপারভাইজারের বেতন ১১ হাজার টাকা ২০১৮ সাল থেকে। এরপর আর কোনো বেতন বাড়ানো হয়নি। এখন যা দ্রব্যমূল্যের দাম তাতে আমাদের জীবন চলছে না। এক কেজি মুলার দাম ৮০ টাকা, ১ কেজি সিমের দাম ১২০ টাকা। গ্যাসের দাম বেড়েছে, বাসা ভাড়া বেড়েছে। আমাদের বেতন ২৩ হাজার করতে হবে। এটাই আমাদের দাবি। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করে যাব, পুলিশ যতোই আমাদের ওপর আক্রমণ করুক আন্দোলন চলবেই।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, শ্রমিকরা সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করে। সড়কে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার, চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ, সফিপুর, মৌচাক ও জেনারেল, কোনাবাড়ী কলেজ গেইট। যেসব কলকারখানা রয়েছে সেইসব কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছে।
 লেগোস অ্যাপারেলস, এটিএস, বে-ফুটওয়ারসহ ৭/৮ টি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।