০৪:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

রাজধানীতে কলেজ ছাত্র পিয়াস হত্যার মূল আসামিসহ গ্রেফতার ৬

রাকিব হোসেন মিলন, বিশেষ প্রতিনিধি
রাজধানীর মুগদায় কলেজ ছাত্র পিয়াস ইকবাল নূর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুগদা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ মারুফ উল্লাহ অর্নব, খালেদ, আরিফ, মিরাজ, মো: আমির উদ্দিন আহম্মেদ অনিক ও মো: ফরিদ আহম্মেদ রাব্বী। ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভিকটিম পিয়াস ইকবাল নূর কবি নজরুল ইসলাম কলেজের অর্নাস ২য় বর্ষের ছাত্র। পুরাতন মোবাইল ফোন বিক্রির পাওনা টাকাকে কেন্দ্র গত ৭ মার্চ উত্তর মুগদা লিটল এ্যাঞ্জেল লার্নিং হোম নামে স্কুলের সামনে আসামীরা ভিকটিম ও তার বন্ধু মোঃ শামীম হোসেন হত্যা করার উদ্দেশ্য রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে প্রথমে, তাদের মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিম ও তার বন্ধুর শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তাৎক্ষণিকভাবে মুগদা থানা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পিয়াসকে মৃত ঘোষণা করেন। ভিকটিমের বন্ধু মোঃ শামীম হোসেন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মুগদা থানায় ৮ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে সবুজবাগের জোনের সহকারী পুলিশ কমিশানার শোভন চন্দ্র হোড়ের নেতৃত্বে মুগদা থানার একটি টিম এজাহার নামীয় আসামী মারুফকে মামলা রুজুর এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন ।
পরবর্তীতে ধারাবাহিক অভিযানে গত ১১ মার্চ আসামী খালেদ, আরিফ ও মিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে মিরাজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার ভোরে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দুর্গম এলাকা থেকে মোঃ আমির আহম্মেদ অনিক ও মোঃ ফরিদ আহম্মেদ রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি বাঁশের লাঠি, ১টি বেসবল খেলার স্টিক, ১টি রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মুগদা থানার মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:৪২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
৫৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে কলেজ ছাত্র পিয়াস হত্যার মূল আসামিসহ গ্রেফতার ৬

আপডেট : ০৪:৪২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর মুগদায় কলেজ ছাত্র পিয়াস ইকবাল নূর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুগদা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ মারুফ উল্লাহ অর্নব, খালেদ, আরিফ, মিরাজ, মো: আমির উদ্দিন আহম্মেদ অনিক ও মো: ফরিদ আহম্মেদ রাব্বী। ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভিকটিম পিয়াস ইকবাল নূর কবি নজরুল ইসলাম কলেজের অর্নাস ২য় বর্ষের ছাত্র। পুরাতন মোবাইল ফোন বিক্রির পাওনা টাকাকে কেন্দ্র গত ৭ মার্চ উত্তর মুগদা লিটল এ্যাঞ্জেল লার্নিং হোম নামে স্কুলের সামনে আসামীরা ভিকটিম ও তার বন্ধু মোঃ শামীম হোসেন হত্যা করার উদ্দেশ্য রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে প্রথমে, তাদের মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিম ও তার বন্ধুর শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তাৎক্ষণিকভাবে মুগদা থানা পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পিয়াসকে মৃত ঘোষণা করেন। ভিকটিমের বন্ধু মোঃ শামীম হোসেন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মুগদা থানায় ৮ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্তকালে সবুজবাগের জোনের সহকারী পুলিশ কমিশানার শোভন চন্দ্র হোড়ের নেতৃত্বে মুগদা থানার একটি টিম এজাহার নামীয় আসামী মারুফকে মামলা রুজুর এক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন ।
পরবর্তীতে ধারাবাহিক অভিযানে গত ১১ মার্চ আসামী খালেদ, আরিফ ও মিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে মিরাজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার ভোরে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দুর্গম এলাকা থেকে মোঃ আমির আহম্মেদ অনিক ও মোঃ ফরিদ আহম্মেদ রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি বাঁশের লাঠি, ১টি বেসবল খেলার স্টিক, ১টি রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মুগদা থানার মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।