০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

শাহজাদপুরে ৩দিন ব্যাপী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উৎসব শুরু

প্রতিনিধির নাম
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের দ্বারিয়াপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি তদারকির কাছারি বাড়ি অঙ্গণে সোমবার সকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মদিন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকিরের১৬২তম  জন্মজয়ন্তী  উৎসব শুরু হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন এ উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উৎসবে কাছারি বাড়ি  বর্ণীল সাজে সাজানো হয়েছে।  এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র প্রেমী, গবেষক ও অনুরাগীদের পদচারণায় মুখোর হয়ে উঠেছে কাছারি বাড়ি অঙ্গণ। সোমবার  সকালে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাড.শামসুল হক টুকু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ৩ দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সিরাজগঞ্জ-৬(শাহজাদপুর) জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান
কবিতা, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব রাজিব কুমার সরকার,সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. হোসেন আলী হাসান,শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান,শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ আ: হামিদ লাবলু, শাহজাদপুর পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু বলেন,রবীন্দ্রনাথ আমাদের গর্ভ,আমাদের প্রাণের কবি। বঙ্গবন্ধু মনে প্রাণে রবি কবির শিল্প দর্শন ও আদর্শকে বুকে লালন করতেন। তাই সবার মাঝে রবির আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি তার লেখা গানকে জাতীয় সঙ্গীত করেছেন। আমাদের প্রত্যেকের উচিত রবি কবির দর্শন অনুসরণ করা। রবি দর্শনই আমাদের মুক্তির পথ অন্বেষণ করতে হবে।
এ দিন সকালে থেকেই রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে রবীন্দ্র প্রেমিদের ভিড় লক্ষ করা যায়। তারা বর্ণিল সাজে সেজে রবি অঙ্গণ প্রাণবন্ত করে তোলেন। অপরদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগ এখানে দিন ব্যাপী ‘রং তুলিতে রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে দেশের খ্যাতনামা ১০জন নবীন ও প্রবীণ চিত্র শিল্পী ক্যানভাসে চিত্রকর্ম অঙ্কন করেন। তাদের এ চিত্রকর্ম অঙ্কন এ অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে বুলেছে। উদ্বোধনী পর্ব শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সঙ্গীত,আবৃত্তি,নৃত্যানুষ্ঠানর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য,বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি তদারকির জন্য এখানে মাঝে মাঝে আসতেন ও কিছুদিন করে অবস্থান
করতেন। তার এই অবস্থান কালে তিনি চিত্রা,চৈতালি,সোনার তরী, নাটক বিসর্জন,ছোট গল্প পোস্ট মাস্টার,ছিন্নপত্র ,গানসহ অসংখ্য লেখা এখানে বসে
লিখেছেন। তার এই স্মৃতিকে অমর করে ধরে রাখতে এ কাছারিবাড়িতে তার ব্যবহৃত জিনিস ও আসবাবপত্র নিয়ে দ্বিতল ভবনে যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে দর্শনার্থী ও ভক্ত অনুরাগীরা এখানে এসে কবির পরশ নিয়ে থাকেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
৭১ বার পড়া হয়েছে

শাহজাদপুরে ৩দিন ব্যাপী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উৎসব শুরু

আপডেট : ০৭:০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের দ্বারিয়াপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি তদারকির কাছারি বাড়ি অঙ্গণে সোমবার সকাল থেকে ৩দিন ব্যাপী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মদিন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকিরের১৬২তম  জন্মজয়ন্তী  উৎসব শুরু হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন এ উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উৎসবে কাছারি বাড়ি  বর্ণীল সাজে সাজানো হয়েছে।  এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র প্রেমী, গবেষক ও অনুরাগীদের পদচারণায় মুখোর হয়ে উঠেছে কাছারি বাড়ি অঙ্গণ। সোমবার  সকালে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাড.শামসুল হক টুকু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ৩ দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সিরাজগঞ্জ-৬(শাহজাদপুর) জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান
কবিতা, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব রাজিব কুমার সরকার,সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. হোসেন আলী হাসান,শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান,শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শেখ আ: হামিদ লাবলু, শাহজাদপুর পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন,সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু বলেন,রবীন্দ্রনাথ আমাদের গর্ভ,আমাদের প্রাণের কবি। বঙ্গবন্ধু মনে প্রাণে রবি কবির শিল্প দর্শন ও আদর্শকে বুকে লালন করতেন। তাই সবার মাঝে রবির আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি তার লেখা গানকে জাতীয় সঙ্গীত করেছেন। আমাদের প্রত্যেকের উচিত রবি কবির দর্শন অনুসরণ করা। রবি দর্শনই আমাদের মুক্তির পথ অন্বেষণ করতে হবে।
এ দিন সকালে থেকেই রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে রবীন্দ্র প্রেমিদের ভিড় লক্ষ করা যায়। তারা বর্ণিল সাজে সেজে রবি অঙ্গণ প্রাণবন্ত করে তোলেন। অপরদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগ এখানে দিন ব্যাপী ‘রং তুলিতে রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে দেশের খ্যাতনামা ১০জন নবীন ও প্রবীণ চিত্র শিল্পী ক্যানভাসে চিত্রকর্ম অঙ্কন করেন। তাদের এ চিত্রকর্ম অঙ্কন এ অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে বুলেছে। উদ্বোধনী পর্ব শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সঙ্গীত,আবৃত্তি,নৃত্যানুষ্ঠানর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য,বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি তদারকির জন্য এখানে মাঝে মাঝে আসতেন ও কিছুদিন করে অবস্থান
করতেন। তার এই অবস্থান কালে তিনি চিত্রা,চৈতালি,সোনার তরী, নাটক বিসর্জন,ছোট গল্প পোস্ট মাস্টার,ছিন্নপত্র ,গানসহ অসংখ্য লেখা এখানে বসে
লিখেছেন। তার এই স্মৃতিকে অমর করে ধরে রাখতে এ কাছারিবাড়িতে তার ব্যবহৃত জিনিস ও আসবাবপত্র নিয়ে দ্বিতল ভবনে যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে দর্শনার্থী ও ভক্ত অনুরাগীরা এখানে এসে কবির পরশ নিয়ে থাকেন।