০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

গোপালগঞ্জে প্রাচীর নির্মাণ করে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে

প্রতিনিধির নাম


গোপালগঞ্জে রাতের আঁধারে প্রাচীর নির্মাণ করে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নং গোবরা নিলাহ্ মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে গণমাধ্যমকর্মীরা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। পরে অবরুদ্ধ পরিবারটি নিরুপায় হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় জানালে সেখানে টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত উপপুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল কালাম শেখ‌ ও তার সহধর্মিনী রওশনারা কালাম পুলিশ ও গণমাধ্যমকে জানান, আমরা শান্তিপ্রিয় লোক, বাড়ি ঘরেও খুব একটা থাকি না, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা মৌজার ১৭৫ নং দাগের ৯০ শতাংশ জমির মধ্যে ৬৫ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক। উক্ত জমি অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে টিপু সুলতানের স্ত্রী নার্গিস বেগম সহ এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী একটি মহল। গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে টিপু সুলতানের স্ত্রী নার্গিস বেগম, নিহাম শেখ, কামরুল শেখ সহ এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী আমাদের জায়গায় ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এছাড়াও তাদেরকে আমার পুকুরের পানি ব্যবহার করতে না দেওয়ার জেরে গত সোমবার রাতের অন্ধকারে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উন্মুক্ত দুই প্রবেশদ্বারে তড়িঘড়ি করে প্রাচীর নির্মাণ করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা। পরে আমি বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। বর্তমানে আমরা জান-মালসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা দ্রুত আইনি প্রতিকার চাচ্ছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত টিপু সুলতানের স্ত্রী নার্গিস বেগমের সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে তিনি কোর্টে কাজ আছে মর্মে সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাড়াহুরো করে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক ওবায়দুর রহমান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান এবং অভিযুক্ত নার্গিস বেগমকে মুঠোফোনে প্রাচীর ভেঙ্গে নেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি উভয় পক্ষকে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে  থানায় ওসি সাহেবের সাথে দেখা করার নির্দেশ দেন। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী মো. আবুল কালাম শেখ।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:২২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
১২৩ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জে প্রাচীর নির্মাণ করে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে

আপডেট : ০৫:২২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩


গোপালগঞ্জে রাতের আঁধারে প্রাচীর নির্মাণ করে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নং গোবরা নিলাহ্ মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে গণমাধ্যমকর্মীরা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। পরে অবরুদ্ধ পরিবারটি নিরুপায় হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় জানালে সেখানে টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত উপপুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল কালাম শেখ‌ ও তার সহধর্মিনী রওশনারা কালাম পুলিশ ও গণমাধ্যমকে জানান, আমরা শান্তিপ্রিয় লোক, বাড়ি ঘরেও খুব একটা থাকি না, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা মৌজার ১৭৫ নং দাগের ৯০ শতাংশ জমির মধ্যে ৬৫ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক। উক্ত জমি অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে টিপু সুলতানের স্ত্রী নার্গিস বেগম সহ এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী একটি মহল। গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে টিপু সুলতানের স্ত্রী নার্গিস বেগম, নিহাম শেখ, কামরুল শেখ সহ এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী আমাদের জায়গায় ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এছাড়াও তাদেরকে আমার পুকুরের পানি ব্যবহার করতে না দেওয়ার জেরে গত সোমবার রাতের অন্ধকারে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উন্মুক্ত দুই প্রবেশদ্বারে তড়িঘড়ি করে প্রাচীর নির্মাণ করে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা। পরে আমি বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। বর্তমানে আমরা জান-মালসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা দ্রুত আইনি প্রতিকার চাচ্ছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত টিপু সুলতানের স্ত্রী নার্গিস বেগমের সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে তিনি কোর্টে কাজ আছে মর্মে সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাড়াহুরো করে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক ওবায়দুর রহমান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান এবং অভিযুক্ত নার্গিস বেগমকে মুঠোফোনে প্রাচীর ভেঙ্গে নেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি উভয় পক্ষকে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে  থানায় ওসি সাহেবের সাথে দেখা করার নির্দেশ দেন। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী মো. আবুল কালাম শেখ।