০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

দুমকিতে ছেলে ও নাতির শোক সইতে না পেরে ছেলের মা বিষপানে আত্মহত্যা

প্রতিনিধির নাম
পটুয়াখালীর দুমকি মুরাদিয়া ইউনিয়ন এর বাসিন্দা মোঃ মজিবর মুন্সীর ছেলে   জাকারিয়া ও  একই গ্রামের মোঃজাকির হোসেন এর মেয়ে  মোসাঃ জাকিয়া সুলতানা জুঁই তারা একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে,  এক পর্যায় গত এক বছর দুই মাস আগে তারা আত্ন গোপনে যাওয়ার আনুমানিক তিন মাস আগে  তারা ঢাকায় গিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারিজ এর মাধ্যমে বিবাহ কাজ সম্পুর্ন করে। উক্ত বিষয় গুলো জেনেও জুঁই এর মা বাবা মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার, এবং উক্ত পরিষদের মহিলা মেম্বার মোসাঃনাসিমা বেগম সহ স্থানীয় কতিপয় গান্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের মাধ্যমে জুঁইকে তাদের মা বাবা কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয় তার পরে তারা তাদের মেয়ে জুঁইকে অমানুষিক ভাবে  নির্যাতন করে, রক্তাক্ত অবস্থায় দুমকি থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করে।ঐ মামলায় আমার ছেলে আত্ন সমার্পন করে এর পরপর সে ৭৬ দিন জেল  খেটে জামিনে আসে জামিনে আসার পরেই মেয়ে মোসাঃ জুঁই পুনরায় জাকারিয়ার সাথে আত্ন গোপন করে। পরে জুই এর গর্ভে জাকারিয়ার সন্তান আসে।এর প্রেক্ষিতে জুইএর মা বাদী হয়ে পুনরায় জাকারিয়ার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ আদালতে আরেক টি মামলা দায়ের করে। তাদের দায়ের কৃত দ্বিতীয় মামলায় জাকারিয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়,জাকারিয়া গত ঈদুল ফিতর এর সময় স্ত্রী  নিয়ে বাড়িতে আসায় পুলিশ গত ১০/৫/২০২৩ইং তারিখ জাকারিয়া কে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার গর্ভবতী স্ত্রী  জুইঁ কে থানার পুলিশ ও তার খালাতো ভাই মো: হাসিব, পিতা মোঃরফিকুল ইসলাম, গ্রাম সস্তোষদি, ওয়ার্ড নং ০৯মুরাদিয়া, পটুয়াখালী এর টানা হেচড়ায় অসুস্থ হয়ে পরে তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে একটি  প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ডাক্তার জানায় তাকে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে, জুই কে অপারেশন করলে তার গর্ভে ছেলে সন্তান হয়। সন্তান ভীষন অসুস্থ হয়ে পরে  তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিভির পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়,  সে খান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন, পরে জুঁই এর বাচ্চা কে ভর্তি করা হয় ঐই দিনই রাত আনুমানিক ২.৪৫মিনিটের সময় জুই এর বাচ্চা ইন্তেকাল করে। এ দিকে ,ছেলে ও নাতি পুত্রবধূর  শোক সইতে না পেরে গত ২৫/৫/২০২৩ ইং তারিখ  অপহরণ মামলায় ছেলে ও অন্তসত্ত্বা পুত্রবধুকে তুলে নেয়ার ৪৮ঘন্টা ব্যবধানে মা হনুফা বেগম (৪৫) কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। গতবৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া চরগরবদি  গ্রামের মজিবর মুন্সী ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে জাকারিয়া মুন্সী একই এলাকার বাসিন্দা, কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও শাহনাজ বেগম দম্পতির কন্যা জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নিয়ে পালিয়ে ৩মাস আত্মগোপনে থেকে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির হোসেন জাকারিয়া মুন্সী সহ তার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।  দফায় দফায় হামলা নির্যাতন চালায়।
গত মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরগরবদি গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জাকারিয়াকে গ্রেফতার ও জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে উদ্ধার করে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এতে মজিবর মুন্সির স্ত্রী হনুফা বেগম চরম হতাশাগ্রস্থ ও অসহায় হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কীটনাশক পান করে আত্মহননের চেষ্টা চালায়। নির্জন বসতঘরে বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক  হনুফা বেগমের মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ১২:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
৯৬ বার পড়া হয়েছে

দুমকিতে ছেলে ও নাতির শোক সইতে না পেরে ছেলের মা বিষপানে আত্মহত্যা

আপডেট : ১২:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
পটুয়াখালীর দুমকি মুরাদিয়া ইউনিয়ন এর বাসিন্দা মোঃ মজিবর মুন্সীর ছেলে   জাকারিয়া ও  একই গ্রামের মোঃজাকির হোসেন এর মেয়ে  মোসাঃ জাকিয়া সুলতানা জুঁই তারা একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে,  এক পর্যায় গত এক বছর দুই মাস আগে তারা আত্ন গোপনে যাওয়ার আনুমানিক তিন মাস আগে  তারা ঢাকায় গিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারিজ এর মাধ্যমে বিবাহ কাজ সম্পুর্ন করে। উক্ত বিষয় গুলো জেনেও জুঁই এর মা বাবা মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার, এবং উক্ত পরিষদের মহিলা মেম্বার মোসাঃনাসিমা বেগম সহ স্থানীয় কতিপয় গান্যমান্য ব্যক্তি বর্গদের মাধ্যমে জুঁইকে তাদের মা বাবা কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয় তার পরে তারা তাদের মেয়ে জুঁইকে অমানুষিক ভাবে  নির্যাতন করে, রক্তাক্ত অবস্থায় দুমকি থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করে।ঐ মামলায় আমার ছেলে আত্ন সমার্পন করে এর পরপর সে ৭৬ দিন জেল  খেটে জামিনে আসে জামিনে আসার পরেই মেয়ে মোসাঃ জুঁই পুনরায় জাকারিয়ার সাথে আত্ন গোপন করে। পরে জুই এর গর্ভে জাকারিয়ার সন্তান আসে।এর প্রেক্ষিতে জুইএর মা বাদী হয়ে পুনরায় জাকারিয়ার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ আদালতে আরেক টি মামলা দায়ের করে। তাদের দায়ের কৃত দ্বিতীয় মামলায় জাকারিয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়,জাকারিয়া গত ঈদুল ফিতর এর সময় স্ত্রী  নিয়ে বাড়িতে আসায় পুলিশ গত ১০/৫/২০২৩ইং তারিখ জাকারিয়া কে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার গর্ভবতী স্ত্রী  জুইঁ কে থানার পুলিশ ও তার খালাতো ভাই মো: হাসিব, পিতা মোঃরফিকুল ইসলাম, গ্রাম সস্তোষদি, ওয়ার্ড নং ০৯মুরাদিয়া, পটুয়াখালী এর টানা হেচড়ায় অসুস্থ হয়ে পরে তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে একটি  প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি করা হলে ডাক্তার জানায় তাকে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে, জুই কে অপারেশন করলে তার গর্ভে ছেলে সন্তান হয়। সন্তান ভীষন অসুস্থ হয়ে পরে  তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিভির পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়,  সে খান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন, পরে জুঁই এর বাচ্চা কে ভর্তি করা হয় ঐই দিনই রাত আনুমানিক ২.৪৫মিনিটের সময় জুই এর বাচ্চা ইন্তেকাল করে। এ দিকে ,ছেলে ও নাতি পুত্রবধূর  শোক সইতে না পেরে গত ২৫/৫/২০২৩ ইং তারিখ  অপহরণ মামলায় ছেলে ও অন্তসত্ত্বা পুত্রবধুকে তুলে নেয়ার ৪৮ঘন্টা ব্যবধানে মা হনুফা বেগম (৪৫) কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছে। গতবৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদিয়া চরগরবদি  গ্রামের মজিবর মুন্সী ও হনুফা বেগম দম্পতির ছেলে জাকারিয়া মুন্সী একই এলাকার বাসিন্দা, কলেজ শিক্ষক জাকির হোসেন ও শাহনাজ বেগম দম্পতির কন্যা জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নিয়ে পালিয়ে ৩মাস আত্মগোপনে থেকে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির হোসেন জাকারিয়া মুন্সী সহ তার পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।  দফায় দফায় হামলা নির্যাতন চালায়।
গত মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চরগরবদি গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জাকারিয়াকে গ্রেফতার ও জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে উদ্ধার করে তার পিতার জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এতে মজিবর মুন্সির স্ত্রী হনুফা বেগম চরম হতাশাগ্রস্থ ও অসহায় হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কীটনাশক পান করে আত্মহননের চেষ্টা চালায়। নির্জন বসতঘরে বাড়ির লোকজন অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক  হনুফা বেগমের মৃত্যু ঘোষণা করেন।